তোমাকে যখনই মনে পড়ে-
ভাবি আর বিস্মিত হই এই ভেবে,
তুমি এক বিস্ময় মহাবিশ্বের!
মনে হয়, তুমি মানুষ নও-
ভিন্ন ধারার কোন কিছু মানুষ রূপে!


যতই ভাবি, ভাববো না তোমাকে নিয়ে,
ততই তুমি ক্ষত-বিক্ষত করো হৃদয়কে!
তুমি ভীষণ পাষাণ! অবনীর কলঙ্ক!
তুমি অদ্ভূত এক বিরল প্রজাতি!
এমনকি মৃত্যুর সাথেও করো চাতুরী!
তোমার এক হাতে মিতালির বাণী,
অন্য হাতে শাণিত খঞ্জরের ঝলকানি!


ভাবো, স্তম্ভিত বিশ্ব করছে কুর্ণিশ!
দেখো না অন্তরে পুঞ্জীভূত ঘৃণার লেশ!
তোমার স্পর্শে অবশ হয় সত্যের আকুতি-
ঝরে বিন্দু বিন্দু রক্তের মহাসমষ্টি!
তুমি হাসো অট্টহাসি, বজ্রনিনাদে!
ধরো খামচি দিয়ে অক্টোপাশের মত!
রুদ্রকেও শান্ত করে দাও নিমেষে!
সত্যিই তুমি, বিস্ময় মহাবিশ্বের!