(বিশ্ব ষড়যন্ত্রকারীদের অত্যাচারে শাহাদত বরণকারীদের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করলাম।)


ওহে বিশ্বের বৃদ্ধ কিশোর যুব সমাজ-
সময় এসেছে আজ;
মিলিত কন্ঠে তোলো আওয়াজ,
বিশ্ব ব্যাপীয়া চালু হতে হবে
শুধুই আল্লাহ্’র রাজ।


চোখ মেলে দেখ তোমার চারপাশ;
সমাজতন্ত্রের ক্ষত-বিক্ষত লাশ!
কান পেতে শোন ঐ গণতন্ত্রের আর্তনাদ,
নব্য ফেরাউনের দল জিঘাংসায় উন্মাদ!


দিকে দিকে অশান্তির আগুন!
আড় চোখে চেয়ে আছে মাতব্বর শকুন;
হুমকি, অবরোধ, ট্রিগারে মৃত্যুবাণ,
থর্ থর্ কাঁপে ঈমানহীন মুসলমান!
ধিক্ ধিক্ তব ইবাদতের ভান!


ওরে ভীতু কাপুরুষ, কিসের উরশ?
থাকবে কি এই দেহে চিরদিন প্রাণ?
তবে উঠ জেগে, মৃত্যু ভয় ভেঙ্গে;
সত্যের পথে হও আগুয়ান।
কৌশূলীদের দল, মুসলমান সেজে,
ছড়িয়ে রয়েছে পথে-প্রান্তরে, সাবধান!
হে মুজাহীদ, হে নওজোয়ান!


বিশ্বব্যাপী জুলুম-শোষণ, অন্যায়ের প্লাবন,
সুরম্য অট্রালিকার বিলাস আসনে বসি-
নেতৃত্ব দেয় মানবের বেশে স্বয়ং শয়তান!
গুঁড়িয়ে দাও, উড়িয়ে দাও- ভেঙ্গে কর খান খান,
চূর্ণ কর নমরুদের দম্ভ, শয়তানের শাসন;
হে মুজাহীদ, হে নওজোয়ান!


শোন ঐ ইসলামী বিপ্লবের আহবান;
আলীমুল গায়িব, বিশ্বস্রষ্টাও তাই চান।
অথচ লজ্জায় মরি, মসজিদে নামায পড়ি-
ঘুষ, দূর্নীতি নিত্য দিনের কাজ!
জিহাদের বাণী শুনে কানাকানি
মস্তকে পড়ে বাজ!


হঠাও মোল্লা, মৌলবাদী! বজ্র কন্ঠে হুঙ্কার ছাড়ি-
মিছিলে মিছিলে একাকার হয় দেশ,
যখন তখন চলে অভিযান কাটিবার তরে দাড়ি!
কে বলে মন্দ-মাদকানন্দ, আমরাতো আছি বেশ!


খোদার বিধান, কোরে অপমান
জাহেলী রাজকে বলিছে মহান!
সংসদে বসে ইয়াজীদ হানে হোসেনের বুকে বাণ!
হায়রে না-ফরমান! শহীদ মরে না; চির জীবন্ত,
যায় না ওদের প্রাণ।
ওদের এক ফোঁটা খুন, জ্বালায় আগুন-
বিশ্বে ছড়ায় বিপ্লবী সুঘ্রাণ!


হায়রে মুসলমান! হায়রে হায় ঈমান!
আল্লাহ’র জমিনে তবে চলবে কার শাসন?
গোলামের প্রতি গোলামের শোষণ-
স্রষ্টা কি তাই চান?
স্রষ্টা কি তবে করেননি খরিদ
তাঁর মোমিনের প্রাণ?
বিণিময়ে তিনি করেননি কি প্রতিশ্রুতি দান?
অনন্ত জীবন-যৌবনসহ করবেন প্রদান!


তাই যদি হয়, কেন তবে ভয়!
হুঙ্কার ছাড়ি হযরত আলীর!
এসো মনে করি আব্বাস আমি,
আমিই ওমর, খালিদও আমিই।
প্রতিজ্ঞা করি- করবো মুক্ত এই জমিন;
অসত্য করবো দূর, এসো হে মোমিন।
অশ্রু নয-শক্তি চাই, সাহস চাই;
হে মহা মহিম, শুধুই তোমার মদদ চাই।


মানুষের গড়া তন্ত্র-মন্ত্র-
নিত্য নতুন গড়িছে যন্ত্র,
জননীর জাতকে করেছে পতিতা এ কেমন মতবাদ!
মাসুম জনতার কন্ঠে ঢালিয়া দিয়াছে সুরার স্বাদ!
জুয়ারী বেচিছে স্ত্রীর সম্মান,
সইতে হবে কি তবু নারী জাতির অপমান?


হায়রে জাহান্নামের কীট!
তোদের জুলুমে দেয়ালে ঠেকেছে
বিশ্ব মানবতার পিঠ!
রুখো দাজ্জাল মানবরূপী,
ইসলাম জ্বেলেছে সত্যের কুপি।
এসো হে বিপ্লবী বীর,
উঠাও শঙ্কিত শির;
ঝান্ডা উড়াও ইসলামের।
জগৎ ব্যাপীয়া জয়ধ্বনি উচ্চারিত হোক
একমাত্র আল্লাহ্ নামের!



বিঃ দ্রঃ-(স্রষ্টা কি তবে করেননি খরিদ
তাঁর মোমিনের প্রাণ?
বিণিময়ে তিনি করেননি কি প্রতিশ্রুতি দান?
অনন্ত জীবন-যৌবনসহ করবেন প্রদান!)


*আল্লাহ ক্রয় করে নিয়েছেন মুসলমানদের
থেকে তাদের জান ও মাল এই মূল্যে যে,
তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত।
(সূরা তাওবাঃ ১১১ এর অংশ বিশেষ)


**আজকের এই দিবসটি এ কবিতাটি প্রকাশের জন্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ! তাই প্রকাশ করলাম।