হে ক্লান্ত, শ্রান্ত, তৃষ্ণার্ত পথিক,
আর কতটা পথ তুমি হাঁটতে পারবে
এমন অনাকাঙ্খিত-অনিশ্চয়তার মাঝে?


উপকুলে জলোচ্ছাসের মহা বিপদ সংকেত!
নৌপথের ডুবোচরে বাধাগ্রস্ত নাবিক,
আর মূলাঞ্চলে টর্নেডোর পূর্বাভাস!


সুসজ্জিত দুর্গসম নিরাপদ আশ্রয়স্থলগুলো
বার বার কেঁপে উঠছে বিভিন্ন মাত্রার ভূকম্পনে!
কি জানি কি হয় দুরু দুরু কাঁপে শুভাকাঙ্খী হৃদয়,
কে জানে কতদূরে জাগে অভয়!


এখনও ঢের বাকি ”ভিশন‘’ বিজয়;
তবে কি হবে শেষে আগাম পরাজয়!
মধ্য লগনে ভাঙ্গিবে কি হাট!
ভাটার টানেও অনিয়মের বিস্ময়!


টাইটানিকের দম্ভ গুড়িয়ে গিয়েছিল
দৃশ্যত শান্ত জমাট বাধা বরফের স্তুপে!
অথচ তা ছিল কতটা শীতল আর নির্জীব!
কেউ জানে না কোথায় লুকিয়ে থাকে
মরণঘাতী শক্তির অাধার!


দীর্ঘস্থায়ী নয় দাম্ভিকের অহমিকা
আর প্রতিহিংসার বিজয়,
অপ্রিয়-অসত্য বাণী ক্ষণেক কাঁদাবে জানি
কিন্তু তা চিরন্তন নয়।
ইতিহাসের সতর্কবাণী কখনো বিরক্তিকর মানি,
তাই বলে ইতিহাসের চাকাকে স্তব্ধ করার
অজেয় শক্তি কখনো কারো ছিল কি?


বিকৃতির কুতর্ক নিঃশেষিত হলে ইতিহাস তার
আপন গতিপথ ঠিকই নির্ধারণ করে নেবে,
যখন আমরা কেউই থাকব না ধরায়।


আমরা কি ক্ষণস্থায়ী নই?
কিন্তু ইতিহাস অক্লান্ত, গতিশীল!
ততদিন তাকে চলতেই হবে নিরন্তর,
যতদিন থাকবে নিসর্গ গর্ভে প্রাণের স্পন্দন।
যতদিন চলবে বসুধায় নতুন নতুন অরুণোদয়।
                              
আমরা কেউই ছিলাম না, আবার থাকবোও না;
তবে অনেকেই হয়ে রবে ইতিহাসের উপকরণ,
কেউ হবে প্রাতঃস্বরণীয়,
কারো বা স্থান হবে ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে!


দীর্ঘ সময় ধরে নিয়মের ব্যতিক্রম করার
দুঃসাহস কারো নেই;
সে শক্তি অর্জন কারো ইচ্ছাধীন নয়।
তাই বরং অসহায়ের পাশে দাঁড়িয়ে,
কালের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবার যোগ্যতা
অর্জনের প্রতিযোগিতায় শামিল হবার
বাসনা জাগ্রত করার প্রচেষ্টাই হোক
আমাদের সকলের আমৃত্যু-অঙ্গীকার!


শান্তির সুশীতল সমীরণ বয়ে যাক
কলুষিত সমাজের সকল আঙিনায়,
সুখের অনুভূতি স্পর্শ করুক সকল মানুষের হৃদয়;
এমন প্রত্যাশার বিজয় হোক আগামী কাল।