একটা মন ক’জনকে দেয়া যায়!
একটা মন দিয়ে ক’জনাকে তুষ্ট করা যায়!
অথচ, সবাই আদর, ভালোবাসা, শ্রদ্ধার কাঙ্গাল!


শৈশব অবুঝ! কথা বলে মাটির সাথে,
আশ্রয় তার শ্রদ্ধাভাজনদের স্নেহ-আদর,
আর জন্মদাত্রী জননীর মমতার আঁচল।


কৈশোর-তারূণ্য হিসাবের গড়মিলে ভরা-
যেন এক লাগামহীন বেপরোয়া উচ্ছাস!
সাথে থাকে ইবলিশের নিয়ন্ত্রণ নেবার খায়েশ!
আর মনের মাঝে ঘাপটি মেরে বসে থাকা
নফস-কুপ্রবৃত্তি বা শয়তানের ধোঁকা!
তখন মনে হয়, জীবনটা কতই না সোজা!
চলবে অনাদিকাল স্ব-ইচ্ছার দাস হয়ে!
অন্য দিকে, সবার মালিক নীরবে সুতা ছাড়ে
ঘুড্ডির লাটাই থেকে আর মুচকি হাসে!
অথচ, মানুষ জানতেও পারে না,
কি তার অর্জন হলো বা কি সে হারালো!


আর যৌবন! সেই বা কম কিসে!
রংধনুর রঙে আঁকা যেন এক স্বপ্নবাজ!
খোঁজে শুধু ফাগুনের আগুন রাত্রিদিন নিরলস!
যৌবন জীবনের মোহনা, যেখানে যুক্ত হয়
ফেলে আসা ব্যর্থতা আর সাফল্যের যোগফল!
যেখান থেকে জীবনের উপসংহারের সূচনা!


এবার দেবার পালা শ্রেণীমত সবাইকে!
একে একে দাঁড়িয়ে থাকে সারিবদ্ধভাবে!
পিতা-মাতার পাওনা, প্রিয়জনের প্রেম-ভালোবাসা,
সাথে স্বপ্ন পূরণের অবিরাম-অফুরন্ত ইচ্ছা!
সন্তানদের দাবীর তালিকার বাহারি প্রকাশ!
এখানেই হোঁচট খায় নৈতিকতার অগ্নিপরীক্ষা!
এবার, বিতাড়িত ইবলিশের বিজয়ের পালা!
লাগামকে কষে ধরে মারে টান সর্বশক্তি দিয়ে!


এতো কিছুর ফাঁকে ভুলে যাই মহানস্রষ্টার দাবী!
ভুলে যাই শর্ত পূরণের চিরন্তন অঙ্গীকার!
যিনি, সৃষ্টি করেন অস্থিমজ্জা, রক্তকণিকা আর
শ্বাসনালীর কার্যকারিতা, যা বয়ে নিয়ে যায় জীবনকে।
যাকে বিশ্বাস করতে হয় শতভাগ বিনা প্রশ্নবাণে;
যাকে ‍যুক্তির পাল্লায় তুলে ছোট করা অহমের প্রকাশ!
চূড়ান্ত পরাজয় হবে, করলে ভুল হিসাবনিকাশ।


পড়ে থাকে অবশেষে বার্ধক্য!
যার কথা ভুলে থাকি জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে!
এবার শুধু স্মৃতিকে পুঁজি করে সময়কে পাশ কাটিয়ে
প্রত্যাশিত চূড়ান্ত পরিণতির দিকে এগিয়ে চলা!