জানি তোমার মন খারাপ হয়ে আছে
চোখের গ্রামে কুয়াশা লেপ্টে যাচ্ছে, বিস্তর;
ঘুরেফিরে জাগ্রতই থাকছো ছুতোয়
যেন ফিরে যেতে পারো কলিজার উনুনে।
কোনো অগ্রহায়ণ-পৌষে খুশবু ছড়িয়েছো তুমুল
মিঠে স্পর্শে ঢেউ তুলেছো নোনতা নদের নৌকায়
আরও কত বাহারি কিলবিল নেচেছে স্রোতে...
তুমি রটেছো নিজস্বীর ফাঁদে; অথচ অলস
কোলাহল ভেঙেছে তাথই, নিঃসঙ্গ প্লাবন।


আমি জানি তুমি ফুটছো কোহেকাফ; তরঙ্গের বয়ানে,
যতদূর নিমগ্ন ছাতারা উজ্জ্বল থাকে খুব।
কোথাও জমেনি অস্থির আলসেমি
তবু ঢেউ, ঊর্ধ্বগামী সরলতা ছড়িয়েছে দূর,
নাবালক ক্ষুধায় ঢেকে গেছে ঈশ্বর!


সেসব জ্বলছে নাটাই, ঘুড়ি ও পিঁপড়ার দৌড়
আগামীর পায়ে তুমি; ঘটেছো বিস্ময়।
আর যত কাছাকাছি দুপুর, রোদের কানাকানি
ফিরেছে অসুখে—তোমার অদ্ভুত নোক্তায়।


জানি তোমার মন খারাপ হয়ে আছে,
শিস বাজছে না ধানের সভায়
অবশিষ্ট ক্ষুধায় তোমার মুখচ্ছবি ছেপে যাচ্ছে হরদম;
এবং কাছাকাছি আর কোনো তুমি নেই!