বেলকুনির এক কোণে
ধূলোয় মলিন দেহে ,
এক ঊষর টবে
অনাদরে,অবহেলায় ,
এক ফণীমনসা।
কন্ঠ রুদ্ধ ,
কন্টকে জাল বিছানো।
শিকারি মাকড়শা কেবল
বাড়িয়েছে বন্ধুত্বের হাত।
কাঁটায় ভয় নেই ;  
কাঁটার সাথে খেলতে জানে।
হোক্ না, স্বার্থে!
তবুও কেবল সে'ই পাশে।
মানুষ মুক্ত বায়ু হতে
তুলে বেলকুনির আঁধারে
ঠেসে, ভাগের জল, মাটি
বাতাস থেকে বঞ্চিত করে
ভেবেছে বনেদিআনা!!!
অথবা অন্য কিছু...
তবুও ফণীমনসা বেঁচে
আছে প্রাণের তাগিদে।
আমি নিজেকে প্রায়ই
দেখতে পাই ঐ
ফণীমনসার মাঝে।
ঊষর মরুর বুকে যেন,
আমিও বেঁচে আছি,
বেঁচে থাকবো ততোদিন
জীবনের তাগিদে,
যতদিন  প্রয়োজন
আমার শস্যশ্যামলা
এই ধরণীর বুকে।
তাই সখ্যতা গড়বো,
আত্ম রক্ষণ করবো
সূক্ষ্ম কাঁটার ঘাতে।


রচনাকাল :-
২৯-০৪-২০১৮ ইং
১৫ ই বৈশাখ ,  ১৪২৫ বাংলা,
ধর্মনগর ,উত্তর ত্রিপুরা।
ভারত।