বড় বড় অট্টালিকার নীচে
রাস্তার পাশে ফুটপাত।
আজো হাজার হাজার
প্রাণ কাটায় ফুটপাতে।
রৌদ্র, খরা,বন্যা মাথার
'পরে।তবু তারা বাঁচে।
আনন্দে আসেনা উপহার।
দীপাবলির প্রদীপ জ্বলেনা
অঙ্গনে।ওরা গৃহশূন্য।
ফুটপাতেই আহার,বিহার,
শয়ন। কোনদিন, কখনো
তাদের দেখেছ কি ভালো
করে মুখপানে চেয়ে।ছেঁড়া
বস্ত্র,এলোমেলো চিরুনি
বিহীন চুল।তেলহীন রুক্ষ
ত্বক। শোয়ার জন্য বিছানা,
বাঁচার জন্য খাদ্য আরো
কতো প্রয়োজন ওদের।
অক্সিজেন দিয়ে চলছে
গাছ অকৃপণ ভাবে।তুমি
দিয়েছ কি কোনোএক দিন
কিছু? চেয়েছ কি কিছু দিতে?
চাও নি তুমি, চাই নি আমি,
চায় না কেউ। পথ চলতে
গেলে বরং ঘৃণা করি ওদের
জঞ্জালের মতো জমে থাকা
দেখে।ওদের ছিন্ন বস্ত্র আর
গায়ের দুর্গন্ধ চাপা দেই
মোদের দামী বস্ত্রও পারফিউম
এর সুবাসে। বাস-ট্রেনের
বিলম্বে সময় গড়াতে অকারণে
খেয়ে চলি প্রয়োজনহীন কতো
খাবার। ওরা চেয়ে থাকে মুখো
পানে।দেখেও কখনো দেখিনা
ওদের। হাজার হাজার টাকার
বাজি পটকা এক নিমেষে ই
পুড়িয়ে ফেলি দীপাবলির
আনন্দে। তার সাথে পুড়ে
যায় নিজেদের বিবেক ও
মানবতা।আমরা বুঝে ও
না বোঝার ভাণ করে
থাকি।আমরা এক মানবতা
হীন মানুষ।


১৭-১০-২০১৭ ইং ;
৩০ই আশ্বিন ;  ১৪২৪ বাং ;
ধর্মনগর ;উত্তর ত্রিপুরা
   ভারত।