আকাশ বাতাস পাগল করে,
ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি পরে।
জুড়লো তাতে  চমকানি,
আলো-আধাঁরের ঝলসানি।
আমি একা বন্দীজীবন,
পথঘাট ধূধূ নির্জন।
একাকীত্ব শুষছে আমায়,
সুদূর-পানে মনটি হারায়।
ইচ্ছে করে উপড়ে ফেলি,
যমকে নিজের দুঃখ বলি।
এই প্রকৃতি বড়ই নিষ্ঠুর,
নিজের ক্রন্দনে করে ভাঙচুর।
আবার বন্যা, আবার ভাঙ্গন,
শুধু হাহাকার, মানুষের ক্রন্দন।
৯৭-এর বন্যার সুর আসে নিঃশ্বাসে,
গোটা শহর গিয়েছিল যেদিন জলে ভেসে।
চাই না বৃষ্টি, চাই না বন্যা,
বন্দীমনের করুন প্রার্থনা।
জানি না প্রকৃতি কি ভাবে?
তবু এ মিনতি বন্দীজীবনে।