আমি কবি।
নেশা আমার কবিতা লেখায়,
দূরের পাহাড়-সাগর দেখার;
ভাবতে পারি জানা -অজানা,এ মেরু-ও মেরু
দেখতে পারি মানস -চক্ষে চিলি কিংবা পেরু।
বসে থাকি আমি উপরে,
               তুলে পায়ের উপর পা।
চেয়ে দেখি অনেক নীচে
                মাঠ ভরা সোনালী ধানক্ষেত।
কল্পনার চোখ আমার,সৌন্দর্য খুঁজে যায়-
তাই তো যখন তাকিয়ে নীচে হঠাৎ দেখতে পাই-
হলদে সবজে জমির ভিতর
আঁকাবাঁকা আল পথ বেয়ে
              খালি গায়ে আর খালি পায়ে,
হেঁটে আসে চাষী;
কোথায় যেন উদাসী হয়,আমার কবি মন।
ইচ্ছে করে চলেই যাই, সেথায় কিছুক্ষন।
কিন্তু যখন সামনে গিয়ে দেখি
সেই কৃষকের মুখে-
একটু খানি হাসি তো নেই,
মাংসও নেই বুকে!
শুধু কয়টা জিরজিরে হাড় বেড়িয়ে ইতস্তত,
করছে গোপন দীনতার অপমান।
তবু সে আমার কবিতার রসদ,
                  এই তার সম্মান।
তার মতো আরো ও অনেক কিছু-
হয়তো তারা চায়না আসতে
                 আমার খাতার পাতায়,
তবু আসতেই হয়-
কতক ইচ্ছায়, কতক অনিচ্ছাই!
নিসর্গের আকর্ষণ নেই তাদের,
নিসর্গ সৃষ্টিরও নেই টান।
তবুও আসছে তারা,
              আসবেও অবিরাম।
তাকিয়ে দেখি খাতার পাতায়,
সুন্দর গেছে হারিয়ে।
কঠিন সত্যি করেছে কালো,
          সাদা খাতার পাতা।
       কোথায় গেল কল্পলোক?
        সবই এখন মাটি!
আকাশ ছেড়ে পা ফেললাম মাটির রাস্তায়।।