মুক্তি


চলো , আজ পালিয়ে চলি
       ভাসিয়ে দিই পাল ,
শুকনো নৌকা ভিজুক আজ ,
       ভিজুক সেই হাল ।
যে হাল ঠেলে বয়ে যেতাম
      দূরের থেকে দূরে ,
মাঝ নদীতে জোয়ার যখন
      উঠতো ঘুরে ঘুরে ;
নৌকা তখন বালির চড়ায়
     মাথার উপর রোদ ,
তোমার আমার ক্লান্ত দেহ
     আর তৃষ্ণার্ত চোখ -
বালি খুঁড়ে জল খায় ।
আর ঘুরে ফিরে বালির চড়ায়
      মুক্তির গান গায় ।
তারপরেতে সন্ধ্যা যখন
    নৌকা দোলে টানে ,
মনটাকে আর পাইনা খুঁজে
     গিয়েছে কোনখানে ;
তবু দিনের তাড়ায় তুলতেই হয়
      নৌকার নোঙ্গর ,
ফিরতে তবু চাইনাকো মন
তুমি বলো , "আর কিছুক্ষন
       থাক না অমর ।"
দিন চলে যায় পিছন পানে ,
     আমরা চলি আগে ,
মাথার উপর কালচে আকাশ
     মনটা কেমন লাগে ।
আর পাখিরা যায় বাসায় ফিরে
      তুমি থাকো চেয়ে ,
" ওই তারাটা দেখ না অমর ,
     আমাদেরই সঙ্গে যেন
     সেও চলেছে বেয়ে ।"
বালির চড়া অতিত তখন
  তারাও যায় না খোঁজা ,
পাখির সাথে তোমারও চোখ
    আলতো করে বোজা ।
সামনে বাঁধা ঘাট ;
তারও সামনে যায় যে দেখা
      সে বন্ধ কপাট ।
বন্ধ হলো মন ,
বন্দী ; তুমিও তখন ।
নৌকা ডাকে , জোয়ার ডাকে ,
আমিও ডাকি সাথে ,
" চলনা আবার আজ ভেসে যাই
     এ পূর্ণিমা রাতে ।
মুক্ত করি মন....."
তুমি বলো , " পারবো না আর ,
শক্ত এ বন্ধন । "
তবে আমিই যাই চলে ,
বন্ধ ঘরের নইকো আমি
   খোলা ঘরের ছেলে ।
তবুও দেখো রাতে ,
জ্যোৎস্না মাখা জোয়ারে কেমন
   নৌকা দুলতে থাকে ।
সেদিন তোমার মন ,
    ভাসতে যদি চাই ,
বাঁধন খুলে ঝাঁপিয়ে পড়ো
  মিলবো সে রাস্তায় .....।
         --- ০ ---