আকাশের মুখ ভার মেঘ হয়েছে কালো
দিঘির ঘাটে শ্যামলা মেয়ে ধরণী করেছে আলো।
ঝিরিঝিরি বৃষ্টি বিদ্যুতের ঝলকানি
পাখির দল নীড়ে ফেরে শোনা যায় ডানার ঝটপটানি।
জঙ্গলের বুনো ফুল ফুটে আছে রাশি রাশি
বৃষ্টিস্নাত রমণী কোমল হস্তে তুলে নেয় যত খুশি।
খোঁপায় গুঁজে একটি কনক চাঁপা
দুলে দুলে চলে, পথ আঁকা বাঁকা।
নিরালা বনপথে মেয়েটির ঠোঁটে হাসি
গভীর কালো কাজল টানা আঁখি দুটি ভাসি ভাসি।
পিঠে ছড়ানো গুচ্ছ কেশরাশি, নেমেছে বন্যা
রূপে লাবন্যে বিকশিত সে যে অনন্যা।
নেই হুঁশ জলে সিক্ত বিপুল নিতম্বিনী
ফিরে চলে গৃহ পথে পৃথুলা স্তনী।
গ্রামের লোকেরা ইতিউতি পাঁচকথা কানাকানি
সুন্দর প্রস্ফুটিত নিজ রূপে, হোক তা জানাজানি।