আমি তো বারবার
ঢাক ঢোল পিটিয়ে বলেছি,
আমার অক্ষমতা।
চাল-ডাল-তেল-নুনের
চুলচেরা হিসাব
গলে যায় আঙুলের ফাঁক দিয়ে।
খাদ্যের ‘অপছন্দ’ থেকে  
সেই কবে ‘অ’ কেটে ফেলে দিয়েছি
-ভেতর থেকে
-বাহির থেকে।
তবু কেন
বারবার হাজির হয়
আয়না?
-চোখের পথে
-কানের পথে
-জিভের পথে
আর কত অগুনতি অস্পষ্ট পথে
যা বোধের পথে এসে চিরকালীন হারায় স্বাভাবিক ব্যাস্ততায়।
উরন্ত রাজ মুকুট
কানের পাশে দিয়ে সবেগে ছুটে চলে
ঝাঁকে ঝাঁকে।
একটিও স্থির হয়না  আমার মাথায়।
জেতার এক চুল আগে
কেন থেমে যায় গতি?
আমার ভেতর-বাহির কুৎসিত,
তোমাদের হিসাবে,
আমি মেনেও নিয়েছি।
তাই পারতপক্ষে
এড়িয়ে চলি ‘আয়না’।
ভিড় থেকে দূরে ভাগি।
মৃত্যুর দিকে ছুটতে চায়
প্রতিটি বিশ্লিষ্ট সত্ত্বা,
প্রতিটি সত্ত্বার ছায়াই
সমসংখ্যক আয়না হয়ে
ধাওয়া করে
বাঁচার প্রতিটি মুহূর্তের দিকে।
আমি -
চাইনি রাজা হতে,
সম্রাটও না।
তোমাকে
একপেশে বিচারকের আসনে দেখি-
জাগরনে-ঘুমে,
অবশ মুহূর্তেও;
তেতো হয়ে উঠে বিছানা।
অন্ধকারে লাথি মেরো
আমার অক্ষমতাকে স্মরণ করে;
শুধু,
চেয়েছি;
আলোতে
মাথাটাকে একটু উঁচুতে রাখতে,
চেয়েছি-
ক্ষয়িষ্ণু হৃদ-স্পন্দন শোনার মত একটি কান,
পেতে চেয়েছি-
এক চিলতে মেয়েলী আবেগ,
স্ত্রী হয়ো না,
বরং এসো, এক সহযাত্রী হয়ে।
খুবই কি বেশী চেয়ে ফেললাম
একটা জীবনের বিনিময়ে ?