‘মা তু জামা কিনবি কবে সভাই দোকান যাছে’
মা শুনে কয়, “বাপ রে তোর জামা তো কিনাই আছে
কালকে ঈদে পিনভি বাপ , এখন তুলাই থাক
গোসল কর ্যা নামাজে যাবি তানিক ধিরাজ রাখ।”
টালির ঘরে চিরাগ জ্বালে রনির বেওয়া মা’টা,
রনির মুখে চাহিয়া চলে দিন গুজরান, খাটা।
রাজের কাজে গিয়েছে স্বামী বছর পাঁচেক আগে,
নতুন বিবি করেছে সেথা, বলতে ভাল না লাগে ।
রনিকে নিয়ে স্বপ্ন দেখে চল্লিশের এ দুখী,
যাহোক রনি মানুষ হলে হবে সে অনেক সুখী।
সেবার হল রনির ব্যামো ভিটা বেচে রনি বাঁচে
অসুখ ঘেঁটে ছেলেটি আজ হয়েছে বছর পাঁচে।
হাতের কাজ ছিলনা জানা মেজেছে বাড়িতে ঝুটা,
কাপড় কাচা, উঠান ঝাঁট, দিয়েছে গোবরে ঘুঁটা।
শিখেছে পরে বিড়ির কাজ- এখনো সেটাই করে,
স্বামী বিহীন ছেলেকে নিয়ে থাকে দর্মার ঘরে।
ঝাঁকায় ছেলে, “দেখা না জামা, কথা কি শুনতে পাস?”
অবশ দেহে কেমন যেন লাগল মায়ের শ্বাস !
পলতেটাকে কমায় কিছু, আলোটা ক্ষানিক নামে,
টিনের বাক্স নামায় নিচে, ছেলে এসে বসে বামে।
‘নকল কিছু আসল ব্যাগে’ বের হয় ঝোলা থেকে
জামাটা দেখে ব্যাজার মুখ, রনি বসে যায় বেঁকে।
“এট্যা তো হামি পিনেছি আগে- হয়ত আগের সাল
ফ্যাকসা মত লাগছে, দেখ্ , আগে ছিল গাঢ় লাল,
পানের পিক লেগ্যাছিল ঐ ডাহিন হাতের কাছে
দেখ্  না তুই, দেখতে পেছি, এখনো আবছা আছে।”
মা চুপ রয়, চেঁচায় ছেলে, “এ পরবো না, তু শুন্
সভাই ক্যাল পিনভে লয়্যা, হামি শুধু পুরাতুন?”


একটু নজর দেবেন প্লিজ :
স্থানীয় ভাষার স্বাদ আনার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে কিছু স্থানে পরিবর্তন করে লেখা হয়েছে।
যেমন :
পিনভ= পরবো
লয়্যা= নতুন
ক্যাল= কাল
ডাহিন= ডান
ইত্যাদি।
ধন্যবাদ