সরস পাতাটি ভেবেছিল বেশ আয়েশে জীবন যাবে,
যবে সে মরুর ফণিমনসার সাথে সখ্যতা পাবে।
কত না সুখের স্বপ্ন দেখল তাকে নিয়ে কাল কাটার,
কি পেলবতার পরশ মিলবে একসাথে পথ হাটার!
কত ক্ষণ কত অনুরননের দোলে গেল কত রাত,
আর কতকাল পরে মিল হবে দু'জনার চার হাত।
যেইনা মরুর পথে চলা শুরু করল সরস পাতা,
গরমের ভাপ এতটা চরম অসহায় হল ছাতা।
যত পথ হাটে রক্তের স্রোত পাতার ঝিমিয়ে আসে
মরুর রাস্তা বড় দূর্গম বাধ সাধে প্রশ্বাসে।
গতি কমে আসে পাতার; ফণিমনসার তাতে কি?
সরসের দিকে গেলে তার কোন ব্যাথা জমে শাখে কি?
যা হোক পাতাটা মাঝপথে থামে, পথ হয় নাকো শেষ,
তবু মনে জাগে ফণিমনসার সাথে থাকবার রেশ।
শেষের সীমানা পার করে পাতা বিদায়ীর হাত নেড়ে,
ঢলে পরে গেল মরনের ঘরে দুনিয়াদারিকে ছেড়ে।
মরু পল্লব এসে দেখে পথে, শীত-জরা পাতাখানি,
কত দিন আগে প্রাণ ছেড়ে গেছে, পচা আজ দেহখানি।
কত সংসারে চলছে এমন বহু না-জানা কথন,
এক আগমন আসে, যবে হয় আরেক বিসর্জন।