রাতের নরম কুয়াশায় বা ভোরের সচ্ছ শিশিরে,
দেখেছি লোভি হায়নার চোখ,সম্পর্কের স্নিগ্ধ চাদরে।
দুফুরের তপ্ত শরিরে,বিকেলের ক্লান্ত গোধুলিতে,
দেখেছি তাজা রক্ত,বন্ধুর মোড়োকে ঢাকা শিকারির ছুরিতে।
তাই তোমারেও বলি,হৃদয় দেওয়ার আগে পরখ কোরো,
হয়ত প্রেমের ভাঁজেই লুকিয়ে আছে সর্বনাশের গেরো।
শরতের কাশ ফুলে,বসন্তের পাতঝরা হলুদ বিকেলে,
দেখেছি শিয়ালের লোভ,লুকিয়ে প্রেমিকার আঁচলে।
কৃষ্ণচুড়ার লাল পাপড়িতে,কড়াই আর ফুলকপির শিতে,
পেয়েছি লাশপচা গন্ধ,বন্ধুত্বের মিথ্যে সন্ধিতে।
তাই তোমারেও বলি,বন্ধুত্বের হাত দেওয়ার আগে পরখ কোরো,
হয়ত করমর্দনের ফাঁকেই,লুকিয়ে আছে সর্বনাশের গেরো।
এসব আজকে কেন বলছি ? কারণ ভিতর থেকে জ্বলছি,
তাই আজ বন্ধু সাজা বিপদ থেকে,মুখোশ ছিঁড়ে ফেলছি।
ভালোর ঘরে ভাত নেই তাই ভালো থাকা যায়না,
সম্পর্কের মুখোশ ছিঁড়ে,যখন তখন বেরিয়ে আসে হায়না।
তাই তোমারেও বলি,সম্পর্ক বুঝে শুনেই আপন কোরো,
হয়ত সম্পর্কের তারেই,লুকিয়ে আছে সর্বনাশের গেরো।