ভেবেছিলাম প্রত্যেক বারের মতো
এবারও বেঁচে যাব
যমের অরুচি মেয়ে, সে আবার কখনো
মরতে পারে?
শরীরের প্রত্যেকটা কোশ জ্বলছিল,
তাও ভেবেছিলাম
এ আর এমন কি বেশি চোট?
বুঝিনি সহ্য করতে করতে সহ্য করাটা
আমার ধাতে সয়ে গেছে।


কেরশিনের গন্ধটা আমার বড় প্রিয় ছিল।
বোতলের ঢাকনা খুলে নাকের কাছে এনে
গন্ধ শুঁখতাম।
--কী যে ভালো লাগত!
তখনো জানতাম না
এমন একটা দিন আসবে, যখন ওই সুন্দর গন্ধটা
এতো বিশ্রি ভাবে আমার সব
যন্ত্রণার শেষ করে দিয়ে যাবে,


আমি পুড়ছিলাম আর ভাবছিলাম,
ধুপ জ্বললে যেমন সুন্দর গন্ধ বেরহয়,
মোমবাতি জ্বললে যেমন আলো বেরহয়,
তেমনি আমি জ্বলছি, নিশ্চয়ই,
বাতাসে সুন্দর সুবাস, আর আঁধারে
আলো ছড়াচ্ছে,


আমি বুঝতে পারিনি, একটা জ্যান্ত মানুষকে
জ্বালিয়ে দিলে সেটা কি বীভৎস হতে পারে,
      এতদিনের অত্যাচারেও যে প্রানটা কোনদিন
        এই শরীরটাকে এক মুহূর্তও ছেড়ে যায়নি,
             পোড়া মানুষের শরীর এত ভয়ংকর,
   যে শেষ পর্যন্ত আমার সাধের প্রাণটাও ভয়ে পালাল।