কথায় আছে -Many man many mind. সমালোচনা  থাকবেই।  হউক কোন কাজ ভাল কিবা মন্দ।  মানুষ সমালোচনা করতে ভালবাসে।  আর সাহিত্য ও সমালোচনা  হতে বাদ পড়েনি।  হতে পারে তাহা   Jeal-ousy  বা Schol-ar-ly বশত: ।আবার হতে পারে তাহা কোন ভুলের কিংবা প্রশস্তির জন্য। তবে যে জন্যই হউক,  ইহার লাগি কারো সাহিত্য চর্চা  থেমে থাকেনা।
      কবিতাকে(সাহিত্যকে)"ভুল বা নির্ভুল"  শব্দ দিয়ে ব্যাখ্যা করা স্বাভাবিক নয়।
বস্তুুত: কবিতার(সাহিত্যের) কোন ব্যাকরণ নেই। তবে সমালোচনার অপেক্ষা তো থেকেই যায়।  কেউ কেউ মনে করেন যে , কারো লেখায় যদি দু'একটা ভুল ধরিয়ে দেয়া যায় তবেই তাহার পান্ডিত্য ঘটলো।  বিশ্বকবি রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর পর্যন্ত  কবি নজরুলের "কান্ডারী হুশিয়ার" কবিতায় (গানে)"খুন" শব্দটির ব্যবহার নিয়ে খুন খারাবী করতে ছাড়েননি।  এটা মূলত:ঘটেছিল পতিপয় নজরুল বিদ্বেষীদের চামচামীর কারণে। যারা নজরুলকে ভাল চোখে দেখতেন না। তারাই  নজরুলকে রবির চোখে বিষিয়ে তুলেছিল। নজরুল ও কঠোর ভাবে চামচাদের দাঁত ভেঙ্গে দিয়েছিলেন।  
     মূলত: যিনি সাহিত্য চর্চা করেন তিনি অবশ্যই স্বেচ্চায় সচেতন থাকেন, যতটুকু পারেন ভুল থেকে মুক্ত  থাকার জন্য।  কাউকে গুরু  ধরে কেউ সাহিত্য রচনা করেন না।  গ্রাম-বাংলার মানুষের মুখে  একটি  কথা বলতে শোনা যায় যে, - বাউলা গান কখনো করজা চলে না।
       আমাদের প্রখ্যাত জন নন্দীত লেখক  কলম যাদুকর -হুমায়ুন আহমেদ  সাহিত্যে কোন ভুল হয়ে গেলে তাহা তিনি সংশোধন করতেন না। বলতেন যে এটা ও একজন সাহিত্যিকের একটা বৈশিষ্ট্য।  তিনি অবশ্যই জানতেন যে, সাহিত্য  কোন ব্যাকরণ মানেনা। তাইতো এ জগৎটাই একটা  সাহিত্যের নাট্যমঞ্চ বলে ঘোষিত।