যদি আমরা দুজন ভোরের পাখি  হয়ে উড়তাম একসাথে , ওই ভোরের আকাশে,
…………বলল কবি প্রেমিকার হাত ধরে ,
তখন  সন্ধ্যা আকাশ মিশেছে বিস্তীর্ন নদী পারে সূর্যের শেষ আলো মেখে –


এক ঝটকায় হাত খানা  সরিয়ে নিয়ে ,
বলল সে মেয়ে চোখে চোখ রেখে ,
উঃ ,তোমার কবিতায় এই যদি শব্দ টা বড্ড বিরক্তি কর ,
যদি ছাড়া বুঝি কবিতা হয় না ,
তারচেয়ে ঢের ভালো, ওই তো বইছে নদী কলকলিয়ে , কই নেইতো কোন যদি –


বুকের ভিতর বড্ড জাগে ভয় ,
ভয়েই মরে কবি –
যদি ছাড়া লিখতে হয় যদি –
তা কি করে  সম্ভব , যদি ছাড়া কাব্যে তার নেইতো কিছু সম্বল -


সন্ধ্যা আকাশে পাখিরা তখন ফিরছে  বাসায় বাসায় –
এমন সময় হাত খানা ধরে  বলল প্রেমিকা ,
যদির ওপর ভর দিয়ে তুমি না হয় হলে কবি –
শীতের রাতে না থাকিলে কম্বল ,
শীত কি যাবে , বলো ভাবলে এমন
যদি থাকত আমার কম্বল -