এ কোন পথে যে চলিল ধরণী, কোন সে পাপের ভারে,
নাহি কোনো মতে রাগ হয় ক্ষীণ, নাহি কোনো ধার ধারে।


কাহারে মানব কবে যে বধিল, কি করিল অপমান,
তা বৈ আজিকে ঈশ্বর কেন পাঠাইলেন ফরমান?


কোন কাননেতে ছিড়িল মানুষ কোন সে ফুলের প্রাণ,
কোন বোতলেতে জ্বীন-ভূত-প্রেতে করিল পেরেক বান?


কোন পাখিটারে ছুড়িল সে তীর, কোন নদে দিলো বাঁধ,
পায়ে পিষে তবে ভাঙ্গিল কি ও সে পিঁপড়ের রাজপ্রাসাদ?


কোন সে প্রাণীরে আগুনে পুড়িল, গাছ কেটে  বিনা বাঁধে,
কোন প্রাণী সে যে আঘাতে মারিল, ক্ষেত খাওয়া অপরাধে?


কোন গরীবেরে আনিল কিনিয়া, কি করিল আপন দাস,
দোষ কি সে আর করিছে কি জানি, গালায় পড়াইলো ফাঁস?


কোন হরিণেরে গুলিতে মারিল, গলায় চালাল ছুড়ি,
বিড়াল-কুকুর মারিল কি বেঁধে, করিলে খাবার চুরি?


হাতিরে ক্ষেপিয়া রাগাইল কি সে, শেকল পড়ালো পায়ে,
ইঁদুরের গর্তে কল দিল নাকি, মরে যেন পড়ে গায়ে?


নষ্ট কি করিল ভাতের দানা, রুটি, পায়েস আর ক্ষীর,
বর্জ্য ফেলিয়া নদী কি ময়লা, নোংরা করিল তীর?


একে একে সবে দুষিলো মানবে, তাহাই সুনিশ্চিত,
নয় তবে কেন ঘরেতে সকলে, বাহিরেতে কিঞ্চিত?


এরুপ কর্মে বিধাতা নারাজ, মানব জাতির 'পরে
নয়তো আজিকে মহামারী কেন, মানুষ বন্দী ঘরে?


প্রভু শুনিয়া নালিশ তাদের, করে দিল ফরমানি,
"যাও সবে আজ ঘুরিয়া বেড়াও, তাদের ঘরেতে আনি।


মহামারী আজ দিলাম তাদের, কপালেতে দিক হাত,
এমন অসুখ কি দিয়া বধিবে, ভেবে যাক দিনরাত।


প্রকৃতির প্রতি যতদিন তারা সদয় হবেনা, যেনো
এই মহামারী! জানিয়ে দিলাম তাদের আঘাত হেনো।"


আদেশ শুনিয়া শুশুক নাচিছে, কূলের কাছেতে এসে,
সাগর লতাও তীর ছেড়ে যায় সাগর জলেতে ভেসে।


বনের পশুরা চড়িয়া বেড়ায়, কোনো ডর নাহি ওরে,
পাখিরা আকাশে অ-বাঁধে চলিছে মনের মতন করে।


বন্দি মানুষ ঘরের দেয়ালে, কে কোন অসুখ আনে,
নবরুপে এই মহামারী আজ হার যেন নাহি মানে।


০৬.০৪.'২০