একটা কষ্ট  ! কালো মেঘের ছায়া
চোখের পাতায় ভর করেছে কখন, বুঝিনি
সাদা কাপড়টা মেঝের থেকে উঠিয়ে নিলাম শরীরে
বাইরে ঝুম বৃষ্টি হচ্ছে,দরজার দিকে পা বাড়াতেই..
-এতো রাতে যাবে ?
-হুম! এখনই....
-ধীরে ধীরে আমার ভিতরকার কুয়াশাগুলি কেটে যাচ্ছে
ইচ্ছা করেই ধীর লয়ে হাটছি, গন্তব্যহীন...


একসময় আমাকে পাবার ইচ্ছাটা অকোপটে বলে দিতো
তোমার দুটো ভেজা চোখ!
ডুবে যেতাম আমি, ডুবে যেতাম অতলে
এখনও আমার চোখের তাঁরায় সেই চোখ দুটো ভাসে
যেখানে দেখেছিলাম, আমার জীবন!
সে চোখে চোখ রেখে, নিরবে নিভৃতে  আমি কাঁদি
ভালোবাসার সুখটুকু আসলে কই?


-বৃষ্টি হচ্ছে তো ?
-তাতে কি ?
আমার পিছনে তার পদচলন অনুভব করি।


একবার মাঝরাতে জেগে উঠে দেখি-
পুড়ে যাচ্ছে সব:ভালোবাসার লাল চিঠি,
সযতনের জমিয়ে রাখা অশ্রুদানা,
বাক্স বন্দি অনুভুতি..সব, সব কিছু !


-আমি হাঁটছি, হাঁটছি..বৃষ্টি আরো বাড়ে।
-শোন, ফিরে এসো !
-কি হবে এতো রাতে যেয়ে, কাল নাহয় যেও খুব ভোরে!
- আজকাল তার কোন কথায় আমাকে স্পর্শ করে না ।


আচ্ছা কান্না কাকে বলে?
চোখ থেকে ঝরে পড়া জল ,
নাকি,বুকের ভিতরে বিন্দু বিন্দু রক্ত ঝরে যাওয়াকে ?
নাকি  জমে থাকা অনেক কথা,
যে কথা কখনো কন্ঠ ছুঁয়ে শব্দে উচ্চারিত হয়নি?


বৃষ্টি থেমে গেছে, রাত্রি নিভে গেছে !
পেছনে কি এখনো পদশব্দ শুনতে পাচ্ছি আমি?
পেছন ফিরে তাকালাম। না, কেউ নেই।
মুহূর্তের জন্যে থমকে দাঁড়ালাম!
একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে দেখলাম, আমার সমুখে ভোরের রক্তিম সূর্য !
সে আলোয় বুঝতে পারলাম আমার পথ শেষ।
আর কয়েক পা এগোলেই আমার ঘর!