পাতায় ঘুমানো শিশির বিন্দু মিশে যায়
চারিদিকে জং পড়া মৃত আত্মার পদতলে।
মৌনতার জালে রক্তাত অন্ধকার,
ডুমুর ফুলের ঘ্রান বিন্দু বুকে নিয়ে
নির্জন অরণ্যের পাশে
বসতে গিয়েও দাঁড়িয়ে গেলাম পাথরে।


ছিদ্রময় অস্তিত্ব আর মৃত্যুচিন্তা জুড়ে সুদুর অপরাহ্ন
এলোমেলো মার্গীয় সঙ্গীত বেজে উঠে
বাইরে মৃদু কাঁপতে থাকা জবাকুসুমের বুকে।


এইসব রেখে, কিছুক্ষন মেঘে মেঘে পায়চারি
রক্ত নালীর ভিতর থেকে হাত বাড়িয়ে
অন্ধকার শুষে নিলো সমস্ত শরীর।


এক হাতে ছিলো অনন্ত কালের অপেক্ষা
অন্য হাতে মৃত কলি।
মরন এসেও থমকে গেলো বাষ্পসিক্ত গ্লাসে
খুঁজে পেলনা প্রানের স্পন্দন।