নিঃসঙ্গ নিদ্রাহীন রাতে নিরন্ধ্র আঁধারে
কবিতার কথা ভাবি ধ্যানমগ্ন সাধকের মত,
কবিতাকে মনে হয় এক অদৃশ্য জলধারা
আঁজলা ভরে তৃষ্ণা মেটানোর জন্য।
কখনও আমি কবিতাকে দেখি একা
নাচঘরে ঝাড়বাতির নিচে আলোকিত হয়ে থাকতে,
আবার কখনও সে ছায়াচ্ছন্ন বিষাদে ভরা
এক নিঃসঙ্গ জলাভূমির মত প্রকৃতি কন্যা।
কখনও কবিতা নবীন প্রেমিকের মত
গান গেয়ে ওঠে রাঙা প্রেমিকার সাথে,
শিশুর সারল্য নিয়ে গড়ে ওঠা কবিতা
যেন রঙিন প্রজাপতির পেছনে ছোটে।
কখনও কখনও কবিতা কেবল রহস্যময়,
অন্ধকার গুহায় যেন বাদুড়ের মত আছে ঝুলে।
কখনও কোন বিপ্লবীর কাছে কবিতা
তার বিচ্ছিন্না প্রিয়তমা নারীরই মত,
যার উষ্ণতায় হৃদয়ের স্পন্দন শোনা যায়।
কখনও কবিতা যেন এক একান্ত পথিক,
জ্যোৎস্নারাতে ধুলোমাখা পায়ে চলতে থাকে।
আমার কবিতা যেন তৃষ্ণার্ত ওষ্ঠে ঝরে যায়,
নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে দুর্গম কান্তারে
হয়ে যায় পথহীন,শুধু বিশ্বরূপ দেখে,
আর উদ্ভট উটের পিঠে চলে ঊষর মরুতে।