এই যে আমি, একলা ঘরে,
সবার অগোচরে, দহনের চিহ্ন,
বয়ে বেড়াই, ক্লান্তির প্রহরে,
মনে প্রশ্ন জাগে, শেষ পরিনতি কি ?
তবুও এই ঘর, আমার নিজস্ব জগৎ,
বিশেষ কোন প্রয়োজন বিনা,
কোথাও পা বাড়াই না সহজে।
এই চার দেওয়ালের মাঝখানে,
নিজের মনের সঙ্গে, এক বিরতিহীন,
পাশা খেলা চলে আমার সারাদিন।
এঘরে রৌদ্র কখনও আসে না,
পৃথিবী যখন ঘুমে হয় নিশ্চেতন,
তখন অটুট অন্ধকারে, চোখ মেলে দিই,
খোলা জানলায় বাইরে, আর সেই
জ্যোৎস্নাময় পথে নিত্য যাওয়া আসা
আমার হৃদয়ে, কাঁপন ধরিয়ে তোমার।
তোমার সঙ্গে এই ঘরে বসে যায়,
দোয়েল, কোয়েল, যত পাখির দল,
সাথী হয়ে আসে, জোনাকী আর প্রজাপতি।
সারি দিয়ে সাজে সব লাল গোলাপ,
সাথেসাথেই সাজে যত রজনীগন্ধা।
আমার সৌভাগ্য যেন ঝলমল করে,
ক্যানভাসে যেন রঙের ঝড় ওঠে,
আমি দুচোখ ভরে শুধু দেখি,
আর শুনি অলৌকিক কলতান,
তুমি হয়ে যাও, ঘনিষ্ঠ, মদির,
তোমার দ্যুতিময় হাত, হাতে রেখে,
আমি মেঘলোকে গড়ি স্বপ্নের নিবাস।