নারী তুমি তো অধিষ্ঠিত আদি রূপে,
দেখেছি তোমায় জননীর লালনে।
দেবীর জাগরণে জগত মাতার আহ্বানে,
দেহের প্রতিটা লোহিতের কণার স্রোতে..
ভেসে থাকি শুধু ভালোবাসার সুখ সাগরে।
আগুনে তাপে তোমার স্নেহতলে,
নীলের উপোবাসী হয়ে সন্তানের মঙ্গলে...
পিতার আসনে পিতৃত্বের বিয়োগের ঝড়ে,
সূর্যের প্রখর রোদে বটবৃক্ষের ছায়াতলে।


তোমায় দেখেছিলাম নিপুণ জন্মদানে,
পিতার ভালোবাসার অলঙ্কারে,
জীবনের চাওয়া পাওয়া নিমজ্জনে,
কখনো একটু মরূদ্যানে বারিধারার স্নানে।
গহন অন্ধকারে প্রদীপের শিখায় জ্বলতে,
জীবনের জয়গানে আত্মবিসর্জনে।
দয়ার সাগরে ডুবে তোমার শাসনে,
নারী আসলে দূর্গত নাশিনী রূপে..
মনের দশ হাতে পৃথিবীর বুকে।


অন্ধকারে দুঃস্বপ্নের মাঝে হারিয়ে গেছে..
অসুর দমনের পথে চলতে চলতে ক্লান্তিতে,
কত মহামানবী হারিয়ে গেছে মিথ্যাতে।
পায়নি মাতৃত্বের দিবসের ভালোবাসা পেতে..
পারেনি দিতে স্নেহের পরশ দিতে,
নারী দিবসে সবাই মিলে উদযাপনে মেতে,
হৃদয়ে ভালোবাসার লুন্ঠন অসুর বৃত্তিতে,
হোক না প্রতিবাদে অবরূদ্ধ ভ্রুণের হত‍্যা বৃত্তিতে।