হে কবিগুরু,
মহিমা তব উদ্ভাসিত বাংলা-সাহিত্য মাঝে!
চেতনায় মূর্ত, চিরায়ত, অদম্য,অজেয়, সত্য অকাট্য
গান, কবিতা, কীর্তন, উপন্যাস, গল্প, চিত্রনাট্য
তব পরশমাখা সকল সেই সাহিত্য-শাখা
চিরমহিমান্বিত আপন কারুকাজে!


সায়াহ্নে রাখালের বাঁশি, আঁধার রাতের স্নিগ্ধ কোমল শশী;
গ্রহ, চন্দ্র, তপন, তারা
আপন বেগে-পাগলপারা প্রবাহমান সেই নদীর ধারা,
নানা দিকেই তব ভ্রমিছে নয়ন
সুনিপুণ তাহার সেই কাব্যিক-বয়ন!
বাদল দিনের কদম ফুল, গ্রাম্য বধূর লহর খেলা মুক্ত চুল,
সোহাগমাখা মায়ের কোল, প্রণয়ীর অশ্রুসিক্ত আঁখি,
মুগ্ধ চোখে আকাশ-চাওয়া
বকুল বনের পাখি
উঠিছে হৃদয়ে তব ডাকি!


ওহে সাহিত্য রতন--প্রাতঃলোকে অরুণের মতন
সাহিত্য ধরায় তব প্রকাশ করেছে নাশ
তিমির রাতের;
তব কবিতায় শ্রাবণের গান,
মাঠ ভরা ফসল আর ক্ষেত ভরা সোনালী ধান,
জীবনের সাথে জীবনের যোগ; গরীব দ্বীনেরে স্থান
সাহিত্যেরে করিছে মহীয়ান শৈল্পিক কারুকাজে!
প্রভু, মহিমা তব নন্দিত সমগ্র সৃষ্টি মাঝে!


                                             (সংক্ষেপিত)


রচনাকাল: ১৪/০৫/২০২০ সময়- বিকাল