বৃহৎ গণতন্ত্র এটা গণতন্ত্রের শ্রাদ্ধ,
মন্ত্রীরা সব নৃত্য করে,আমলা বাজায় বাদ্য।
সবজান্তা আমলারা সব দম্ভ দিয়ে গড়া,
জনগণে জন্তু ভাবে ধরায় দেখে সরা।
মুর্গী, মটন,পোলাও খেয়ে কত রকম চিন্তা,
মন্ত্রী মশাই ঢেকুর তোলেন,আমলা নাচেন ধিনতা।
হিল্লী গেলাম,দিল্লী গেলাম;রাশিয়া, চীন ,জাপান;
লোকসভা আর বিধানসভায় চলে উতোর চাপান।
এ বলে চোর, ও বলে চোর, নাইকো কারো লজ্জা,
দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে অস্থি এবং মজ্জা।
মন্ত্রী মশাই ঘুস খেয়েছে, ঘুষ খেয়েছে আমলায়,
প্যায়দা পুলিশ ছাপোষারা কেমনে লোভ সামলায়।
বাজিয়ে বাঁশী মন্ত্রী চলেন এবং চলে কনভয়,
পুলিশ চলে, আমলা চলে,কেমন যেন ভয় হয়।
ফ্রান্সে যখন ব্যারন ছিল,রাশিয়াতে জার,
হুবহু ঠিক এমনি ধারা মিলতো দেখা তার।
গাঁটের কড়ি কেউ ফেলে না, জনগনের অর্থ
মান্যিগণের মান্য যোগায়, গণতন্ত্রের শর্ত।
এক শহরে ব্যবসা ফেঁদে চাকুরে সব ডাক্তার,
কাটিয়ে দিল কত বছর কেই বা রাখে খোঁজ তার।
আবার যাদের চোখের জলে তেপান্তরের মাঠে
কাটলো জীবন ;তাদের তরে কারই বা বুক ফাটে।
তারা কিন্তু সবাই সমান মন্ত্রীমশাই বলেন,
জনগণে বুদ্ধু ভেবে বুক ফুলিয়ে চলেন।
সংস্কৃতির বান ডেকেছে,বাজছে কতই বাদ্য,
নাই বা জুটুক শিক্ষা মোদের এবং পেটে খাদ্য।
রাশিয়া, ফ্রাঁন্স,আমেরিকায় সকাল সন্ধ্যেবেলা
দল বেঁধে সব দেখিয়ে এলাম কত রকম খেলা।
কবিগুরুর জন্মদিনে পদযাত্রার বহর,
গর্বভরে কাঁপিয়ে দিল কত না গ্রাম শহর।
ডিগ্রি মেলে, চাকরী মেলে পয়সা ফেল যদি,
গণতন্ত্রই রাখছে ধরে উপাচার্যের গদি।
গনতন্ত্রে সবাই সমান নাই হতাশার কারণ,
পত্রিকাতে আলোচনা কেন্দ্র হতে বারন।
কিন্তু যারা পার্টি করে রাজপুরুষের বংশ,
দেশের সেবায় মগ্ন সবাই আস্ত পরমহংস।
এ পার্টি আর ও পার্টি সব ধান্দাবাজের দল,
জনগণকে মারতে সবাই ঘোরায় যাঁতাকল।
জনগণকে জবাই করার কি অপরূপ যন্ত্র,
মন্ত্রী বাঁচুক আমলা নাচুক সাবাস গণতন্ত্র!
হায় জনগণ, তোমার কানে দেশপ্রেমের মন্ত্র
শোনাবে কে ! আসবে কখন সাচ্চা গণতন্ত্র !!