তোমার মনের ভিতর একটা শরৎ কালের উপস্থিতি
আমি ঠিক টের পেয়ে যাই...
সেই শরৎ কালের অস্তিত্ব বাতাসে ভেসে আসা
শিউলি গন্ধে আমাকে জানিয়ে দ্যায়...
শরৎ কালের অস্তিত্ব টের পেয়ে যাই,
বাতাসে সুরের মূর্ছনায়,অনুভবে !
যখন গানের শব্দ গুলি জলতরঙ্গে বেজে ওঠে,
তখন আমার মনের ভিতর ...
শিউলি ফুলের সুবাস আর কাশফুলের উপস্থিতি
আমি সময়েই ঠিক টের পেয়ে যাই।
দেখতে পাই: তোমার হাসি আকাশের নীলাভ
হাসিতে মিলে মিশে একাকার হয়ে আছে....
তোমার গান : রাখালের বাঁশিতে মিলে মিশে
কখন যে এক হয়ে গেছে!
তাই বাঁশি বেজে-বেজে ওঠে:তোমার মনের ভিতর ;
বাঁশি বেজে-বেজে ওঠে: তোমার সুরের ভিতর ;
বাঁশি বেজে-বেজে ওঠে :তোমার প্রাণের ভিতর !
দেখি, তুমি দাঁড়িয়ে রয়েছো  তোমার গানের ওপারে;
দাঁড়িয়ে রয়েছো একাকী নীল আকাশের নীচে।
তোমার সমস্ত শরীরে শিউলি-সুবাস ;
তোমার সমস্ত শরীরে  কাশফুলের উজ্জ্বল উপস্থিতি;
এই শরতে তোমাকে আমন্ত্রনের চিঠি ডাকে পাঠিয়ে
দিলাম,আর শরতের চিঠির সঙ্গে পাঠিয়ে দিলাম
তরতাজা এক মুঠো শিউলিফুল ও সকালের শিশিরে
ভেজা  কিছু তাজা ঘাস ।