রবীন্দ্রনাথের রস-কাহিনী তাঁর রস-সাহিত্য জুড়ে আছে ;
তেমন একটি গল্প শোনাবো আজ রসিক জনের কাছে।
শান্তিনিকেতনেএক শীতের সকাল ঢেকে আছে কুয়াসায় ;
সেই শীতের  সকালে কবি একা বসে আছেন বারান্দায়।
হঠাৎ একটি লোক ছুটে এসে জড়িয়ে ধরেছে কবির পায়ে ;
বাঁচান আমাকে ,ধরা পড়ে গেছি আজ আমি যে চুরির দায়ে!
অভয় দিলেন লোকটিকে কবি, ওঠো! আর নেই কোন ভয়!
বলো তুমি, কী চুরি করেছ আজ, আর কী তোমার পরিচয়?
লোকটি কিছু বলার আগে  সেখানে লোকজন এসে পড়ে;
গুরুদেব! এই লোকটা  চোর ,ধরা পড়ে গেছে চুরি করে।
পুকুর পাড়ের খেজুর গাছে উঠে্‌ চুপিসারে কাক-ভোরে,
এক হাঁড়ি  রস চুরি করেছে আজ , এই শয়তান চোরে ।
হাসলেন কবি, রস চুরি!তার এ' চুরিতে  দেখি না দোষ।
এই চোরের প্রতি কেন অবিচার? করো শুধু শুধু রোষ!
কে না করে বলো রস চুরি? এখন সর্বত্র যে রস চুরি!
শিল্প,সাহিত্য,চিত্র-কলায়, দেখি রস চুরি ভূরি-ভূরি।
এই রস চুরি করে কোন দোষ করে নাই এই  রসচোর;
ছেড়ে দাও ওকে, এই কাজে  কোন অপরাধ নেই ওর।
হাসছেন কবি, হেসে ওঠে জনগ্‌ন, হেসে ওঠে পরিবেশ;
শান্তিনিকেতনের বাতাসে অপূর্ব সে হাসির থাকে রেশ!
             --০--


                                                         ।