সংসারটাকে বাঁচিয়ে রাখতে
মেয়েটিকে প্রতিদিন
কাজে যেতে হয়।
এই কাজ মানে,
বিড়ির কারখানায়
ঠিকা শ্রমিকের কাজ।
বিড়ি বেঁধে সারাদিনের সমস্ত
রোজগার
নিংড়ে নিংড়ে
মেটাতে হয়,সংসার খরচ,
ওষুধ,ডাক্তারের ফি!
স্বামীর ক্যানসার!
তবু,আশা ছাড়েনি মেয়েটি...।
শক্ত হাতে ধরে আছে
সংসারের হাল!
রোজ সেই কাক ভোরে
বেরিয়ে পড়ে...        
ফিরতে ফিরতে
রাত হয়ে যায়।
পথে-ঘাটে হায়নার চোখ
শরীরে ঘোরাফেরা করে।
এতো সব পথের বিপদ
সামলিয়ে ক্লান্ত,পরিশ্রান্ত
হয়ে যখন বাড়ি  আসে,
দেখে, রোগাক্রান্ত স্বামী
জেগে আছে-আর চার বছরের
ছোট্ট মেয়েটা মা কখন আসবে,
মা কখন আসবে -বলে বাবাকে
প্রশ্ন করে করে ঘুমিয়ে পড়েছে।
এই ভাবে তাকে রোজ
লড়াই করে বেঁচে থাকতে হয়।
এই লড়াই,-বেঁচে থাকার লড়াই!
এই লড়াই,তাকে একাই লড়ে
যেতে হয়!                    
            --০--