ক্ষণজন্মা আমি, জন্মলগ্ন থেকে কোষে কোষে শুধু ঝলসে ওঠার বেদনা...
মুহূর্তের আবেশে করি জীবন শেষ, বেঁচে থাকে শুধু তোমাদের চেতনা ।।


কবি বলেন, আমি নাকি বিষাক্ত মোহময়ী নারী, যার আছে অমোঘ দুর্নিবার আকর্ষণ...
আমার উষ্ণতার ছোঁয়া পেলে, ফিরাতে না পারে কেহ, বারবার নিষিদ্ধ এই আমন্ত্রণ ।।


আমার জ্বলন্ত ওষ্ঠের ছোঁয়া পেলে নাকি সবার জীবনরেখার দৈর্ঘ্য হয় হ্রাস...
কবি বলেন, বিষময়ী কুহকিনী আমার শ্বাস, ধীরে ধীরে করি তাই সবারে গ্রাস ।।


যদি আমি শুধাই – কবি ?


শুধুই কি প্রতিভায় ভর করে আজ তুমি কবি জগত মাঝারে ??
পরে কি মনে, যখন করেছিলে আলিঙ্গন এই কুহকিনিকেই, রাত্রির ওই নৈশব্দিক অন্ধকারে...
আমার জ্বলন্ত ওষ্ঠে, চুম্বনরত বলেছিলে, আমি তোমার অন্তরের প্রেম, আমি তোমার অনুপ্রেরনা
শেষ চিতায় জ্বলতে জ্বলতেও, বক্ষনিঃসৃত রসে দিয়েছিলাম, তোমার ভালবাসার নতুন কবিতার ধারনা।


যদি আমি শুধাই – কবি ?


ভেবেছ কখনো, আমাকে ছাড়া, তোমাদের নায়ক কি কখনো মহানায়ক হত?
আমার এই জ্বলন্ত অভিমানী বক্ষে ধরেছি উদাহরণ এরকম কত শত
যত কবি, যত শিল্পী, যত বুদ্ধিজিবী, যত প্রেমিক বিরাজিত এই পৃথিবীতে...
হয়েছে মহান, শিল্পও যত, সব অনুশীলনের বয়েছি প্রমাণ এই দোমড়ানো-মোচড়ানো শরীরটাতে ।।


আমি যদি বলি কবি, তোমরাই ক্রূর, অবজ্ঞাভরে ছুঁড়ে ফেলে দাও দরকার ফুরোলেই...
জানো আবার নতুন কোনও ক্ষনজন্মা ষোড়শী থাকবে সেই অপমানের অপেক্ষাতেই ।।


যদি হই আমি এতই বিষময়ী, তবে জেনে শুনে কর কেন সেই গরল পান...
আসলে বিষ তোমাদের অন্তরেই, শুধু চাও প্রমাণিতে নিজেদের দেবাদিদেবের ন্যায় মহান ।।


তাই আজ আমিও ভুলেছি ধূর্ত ভালবাসা, অপেক্ষাতে থাকি শুধু, ওই সেই নতুন কবির...
চুম্বনেও অপটু সে এখনও, তবু সৎ ভাবে স্বীকারিছে, বার বার
আমি তার ফিনিক্স পাখি, মৃত্যুতেও উন্মোচিত করি মুখ এক নতুন অজানা পথছবির।।