ঘোর অমাবস্যার রাতে একদিন পূর্ণিমার চাঁদ দেখেছিলাম,
লুকিয়ে চুরিয়ে এসেছিল প্রেমিকের কল্পনায়...
ভেসেছিলাম অহঙ্কারে সব নক্ষত্ররাশির জল্পনায়,
আলিঙ্গনবদ্ধ হব পিরামিডের চূড়ায়, শতবার ভেবেছিলাম।


এসেছিলো সে, অভিমানী সুরে শুনিয়ে গেল বিরহের গান,
ভালবাসার কাছে সেও যেন শুধু কলঙ্কিনী রক্ষিতা,  
রূপের অহঙ্কার আজ শোষিত, অবহেলিত ও ধর্ষিতা,
একই অঙ্গে বিরজিত আমাদের সঁপে দেওয়া তার দুরকম প্রাণ ।


অভিমানী, সে খুবই অভিমানী, চায় না আর ভালোবাসার জামা,
বলে কেন মিছে পরিয়েছ রূপসী নারীর বসন,
দিনে রাতে, কলপনাতে করেই চলেছ ধর্ষণ,
ভালই তো ছিলাম, কেন রাখলে না ওই শিশুদেরই চাঁদ মামা ।


একই অঙ্গে এত রূপ, কামনার আগুনে একসাথে পুরুষ ও নারী,
কৃপণতার চুরান্তে গিয়ে দিলে শুধু একটি হৃদয়,
কিন্তু যখন এই হৃদয়েও হয় যৌনতার উদয়,
পথ রেখেছ কি, সে অদম্য ইচ্ছা কোন পথে দমন করতে পারি?


পারিনা আমরা, পারে না সেও, প্রবাহমান আদিম অদম্যতায়
একপক্ষকাল তমশাঘন প্রিয় শশধর হয়ে ,
প্রকরান্তরে প্রিয়ার বিধুমুখী রূপে যায় ক্ষয়ে,
একই অঙ্গে বহুরূপে বেঁধেছি আমরা তাকে অর্দ্ধনারীশ্বরতায়।


ঘোর অমাবস্যার রাতে তাই ভরা পূর্ণিমার চাঁদ দেখেছিলাম আমি,
লুকিয়ে চুরিয়ে সে এসেছিল কবির কল্পনায়...
নীল নদের প্রবহমান ধারার স্নিগ্ধ রূপের বন্যায়,
রতিক্রীড়ায় মত্ত, এক অঙ্গে দুই রূপে, ব্রহ্মাণ্ডের প্রথম উভকামী ।।


**************************************