প্রণাম করতে মানা ছিলো,


কিন্তু অবাধ্য মন দুচোখ দিয়ে কখন পা ছুঁয়ে ফেলেছিলো ।


যখন বলেন তখন মনে হয় কলকাতা একটু স্তব্ধ হোক ,


ধীর কন্ঠে বলা একটি শব্দও যেন শ্রবনের অগোচর না হয় ।


উনি কি জানেন
ওনার সাথে তোলা ছবি দেখে অন্যরা আমাদের ভাগ্যকে ঈর্ষা করবে ?


যেমন করে জানবেন না আজ তিন কবিতা মনস্ক কবি হয়ে গেলো সারা জীবনের মতো !


☆☆☆☆☆


সুবাহ হাওয়া কি এক লহর জ্যায়সা আয়ি তরাজু


মাফুম কে তলাশ করু লুগত সে করু আরজু


বড়ি খুশনসিব হম তিন যো দেখা ইস সুবাহ


মলকা-এ-জান ইয়ে গুলাব তেরি দিলরুবা


ইস জিন্দেগি মে না রহে অওর তামান্না-এ-সরফরোশ


দিল মে ইক আওয়াজ উঠি - শঙ্খ ঘোষ ! শঙ্খ ঘোষ !


☆☆☆☆☆


তোমার পাদস্পর্শে ভরাব জীবন ছিল এই আকাঙ্খা,


পেলাম তোমার শান্ত ও সুগভীর আখিঁর আরো বেশী স্নিগ্ধ  আশকারা।


তোমার মধুর ভাষ্যে তাই থমকাল অবাধ্য সময় কাঁটাও,


জানি না,
কত জন্মের সঞ্চিত পূণ্যির অপেক্ষা আজকের সকালটাও।


প্রণাম করা ছিল মানা, তবুও বেয়াদব মন নীরবে করে ফেলল তা বারবার,


কি করি,
হৃদমাঝে হানা দেয় যে তোমারই কবিতার অনুচ্চারিত ঝংকার।


স্বপ্নসফলতার বিহ্বলতায় বুঝিনি কখন যে আপন করলে আতিথেওতার রেশে,


জানবে না তুমিও,
কবিতাপ্রেমী তিনজন এখন যে কবিও হলাম  তোমারই স্নেহধন্য আশীষে ।


*******************************


উপরের কবিতাটি যথাক্রমে তিনজনের মিলিত এক প্রয়াস। প্রথম স্তবক কবিবর শ্রী দেবব্রত সান্যাল, দ্বিতীয় স্তবক কবিবর শ্রী অজিতেশ নাগ ও তৃতীয় স্তবক এই অধমের দ্বারা রচিত যথাক্রমে। আমি খুব ভাগ্যবান ও গর্বিত এনাদের সাথে, এনাদের মাঝে স্থান পেয়ে  ।


এই কবিতায় আমরা সম্মিলিত ভাবে বাংলা কবিতার মহামাণ্য কবি শঙ্খ ঘোষের উদ্দেশ্যে সমর্পিত করলাম। অতি সম্প্রতি তাকে খুব কাছ থেকে দেখার অনুভূতি প্রকাশ করলাম। একটি অনুরোধ কবিতা রচয়িতাদের  কোনোপ্রকার তুলনা না করে সামগ্রিক ভাবে তার প্রতি এই শ্রদ্ধার্ঘ আপনাদের কেমন লাগল জানাবেন।


আর মহামাণ্য কবির সাথে একান্ত আলাপ চারিতা কেমন ছিল তা ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে ও আলোচনায় অংশগ্রহন করতে সকলকে আমন্ত্রণ দিলাম আলচনায় সভায় দেওয়া কবি অজিতেশ নাগ মহাশয়ের দেওয়া আলোচনার পোস্ট - "এক প্রভাতে শঙ্খ ঘোষের সাথে " একবার পড়ে দেখাবার।


আপনাদের ভালো লাগবে এই আশা করি।