নমস্কার কবিবন্ধুরা,  সকলে ভালো আছেন তো ?
অনেকদিন পরে আমার আলোচনার পাতায় আপনাদের স্বাগত জানাই !

এই আসরে বিগত কয়েকমাস ধরে নিয়মিত আসা যাওয়ার ফলে এই আসরের প্রায় সব কবিতাই পড়ি, যখনই সময় পাই । বাংলা কবিতার এই আসরের বাইরে যদিও কবিতার এক বৃহৎ পরিধি রয়েছে, তাও এখানকার প্রায় সকল নিয়মিত ও অনিয়মিত কবিদের লেখা পড়েও বাংলা কবিতার আধুনিক রীতি বা চলন সম্বন্ধে কিছুটা ওয়াকিবহল তো হওয়া যায়। আপনারাও নিশ্চয়ই আমার সাথে একমত হবেন এব্যাপারে ।  


এখানে কবিতা পড়ে দেখতে পেলাম যদিও এখনকার বেশীরভাগ কবিতাই গদ্যরীতিতে লেখা তবুও কিছু কবি বা পাঠক আছেন যারা কবিতায় অন্ত্যমিল বা ছন্দের সঠিক প্রয়োগ করেন বা করতে ভালোবাসেন এবং ছন্দ কবিতা  পড়তেও ভালোবাসেন।  আমি নিজেও ব্যাক্তিগত ভাবে ছন্দমিলের কবিতা পড়তে বেশী ভালোবাসি। যাই হোক, এই ভালো বাসার কারণেই আমিও ছন্দ নিয়ে পড়াশুনো আরম্ভ করেছিলাম।  এই পড়াশোনা করতে গিয়ে আমার অনুভূতিতে আমি বুঝলাম, বাংলা কবিতায় বাংলার প্রধান তিন ছন্দ ছাড়াও অনেক ধরণের সংস্কৃত ছন্দের ব্যবহার লক্ষ্য করা গেছে। এই সংস্কৃত ছন্দ নিয়েই এই আলোচনা সভাতে আমার আগমন । এই আলোচনা আমি সিরিজ হিসাবে প্রকাশ করার আশা রাখি যদি আপনাদের কাছ থেকে ভালোবাসা ও আশীর্বাদ পাই।  আপনাদের যদি ভালো লাগে তাহলে তো  বলবেনই, আর যদি না ভালো লাগে, ধরে পিটতে ইচ্ছে করে তাও অকপটে জানাবেন এই আশা করি।  


বাংলা কবিতার ইতিহাসে প্রধানতঃ মাত্রাবৃত্ত, স্বরবৃত্ত ও অক্ষরবৃত্ত ছন্দের চলই দেখা যায়।  তবে আমার আলোচনা উপরের তিন প্রকার ছন্দ নিয়ে নয়। এই তিনপ্রকার ছন্দ অল্পবিস্তর সকল কবির জানা, সে কবি ছন্দ নিয়ে কবিতা রচনা করুন বা গদ্যকবিতা রচনা করুন। কারণ গদ্যকবিতাও আপাতঃদৃষ্টিতে সাধারণ গদ্য মনে হলেও আমি নিশ্চিত সকলে একমত হবেন যে এর মধ্যেও যথেষ্ট ছন্দ বর্তমান।  আমার আলোচনা এই তিন প্রকার ছন্দের বাইরে গিয়ে অন্য ছন্দ নিয়ে ।  এই আলোচনার প্রথম কিস্তিতে আজকে আমি সংস্কৃত মন্দাক্রান্তা ছন্দ সম্পর্কে আমার শেখা জ্ঞান ও অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাইছি ।


কিন্তু কেন ?  আমি জানি এত অবধি পড়ে নিশ্চয়ই আপনার মনে এ প্রশ্নটা জাগবে - " তুমি নিজে শেখ, পড়, লেখ, যা খুশি কর, তাতে আমাদের কি ?  জোড় করে আমাদেরকে জ্ঞান দিতে আসা কেন বাপু। " অনেকে বোধহয় লাঠিতে তেল মাখাতেও শুরু করে দিয়েছেন এর মধ্যে । আমি বলি কি একটু অপেক্ষা করুন, পুরোটা পড়ে নিয়ে তারপর না হয় মারবেন, আমি নিজেই পিঠ পেতে দেব।
আমার বলার একমাত্র কারণ, আমি যা বুঝেছি, শিখেছি বা যা জ্ঞান আরোহণ করেছি এই স্বল্প সময় পরিসরে, তা আপনাদের সাথে শেয়ার করা, জ্ঞান একমাত্র জিনিস যা শেয়ার করলে বাড়ে । তাই আপনাদেরও এই আলোচনায় সামিল হতে বলছি, কারণ তাতে আমি আরও একটু শেখার অবকাশ পাব । যাই হোক আর বেশী দেরী না করে আলোচনাতে ঢুকে পড়াই ভালো ।  


সংস্কৃত কাব্যে ছন্দের নানারকম প্রকার ভেদ আছে, যদি নাম দিয়ে গুনতে চাই, প্রায় ১৫০০ বা তারও বেশী ছন্দের প্রকার সংস্কৃতকাব্যে ব্যবহূত হয়েছে। তবে আমরা এখানে দেখব বাংলা কবিতায় ব্যবহূত সংস্কৃত ছন্দগুলিকে, তাদেরকে আরো কিছুটা কাছ থেকে জানতে চেষ্টা করব । বাংলা কাব্যে প্রধানত যে সংস্কৃত ছন্দ ব্যবহূত হয়েছে সেগুলি হল -


মন্দাক্রান্তা, শিখরিনী, মালিনী, তোটকম বা তোটক,  শার্দূলবিক্রীড়িত, বসন্ততিলক, বিজোহা বা স্বগ্রিনী, মোটক, বিদ্যাধর ইত্যাদি ।


আমরা প্রথমে মন্দাক্রান্তা দিয়ে আমাদের এই আলোচনা শুরু করব আজকের আলোচনায় । গত কয়েকদিন আগে আমি একটি মন্দাক্রান্তা নামে কবিতা এই আসরে পোষ্ট করেছিলাম যা মন্দাক্রান্তা ছন্দে লেখা আমার নিজের একটি প্রয়াস । আসলে গত কয়েকদিন যাবৎ মন্দাক্রান্তা জ্বরে আক্রান্ত হয়ে পড়েছিলুম, তারই সিম্পটম হিসাবে কবিতাটা বেরিয়ে এসেছিলো। পাঠক প্রতিক্রিয়াও যথেষ্ট পেয়েছিলাম কবিতাটিতে, তবে লক্ষ্য করলুম, আমার মতো অনেকেই এই ছন্দ বিষয়ে অজ্ঞ । অনেকে সাহস করে লিখে উঠতে পারেন না, আবার অনেকে ইচ্ছে থাকলেও শুধুমাত্র কঠিন মনে করে এড়িয়ে যান।  তাই সাহস করে সকলের সুবিধার জন্য মন্দাক্রান্তা ছন্দের সমস্ত দিক নিয়ে এই আলোচনা । কারোর ইচ্ছা হলে দেখতে পারেন আমার কবিতাটি ।


************************************************************


মন্দাক্রান্তার আদি ও অকৃত্রিম উদাহরণ যেটা আমরা সবাই জানি -


" কশ্চিৎ কান্তা বিরহগুরুণা স্বাধিকারপ্রমত্তঃ"- এর পুরোটা যদি বিশ্লেষণ করি তাহলে দেখতে পাব -


সংস্কৃত ছন্দশাস্ত্র অনুসারে পদ্যছন্দ দুই ভাগে বিভক্ত, বৃত্ত ও জাতি - "বৃত্তমক্ষর সংখ্যাত জাতির্মাত্রাকৃতা ভবেত্"। অক্ষরগণনা দ্বারা ছন্দ নির্ণীত হলে তা বৃত্ত এবং মাত্রাগণনা দ্বারা ছন্দ নির্ণীত হলে তা জাতি। মন্দাক্রান্তা ছন্দ সতেরো অক্ষরের।


ক শ্চি ত্ কা ন্তা | বি র হ গু রু ণা | স্বা ধি কা র প্র ম ত্তঃ
শা পে না স্তং | গ মি ত ম হি মা | ব র্ষ ভো গ্যে ম ভ র্ত্তুঃ
য ক্ষ শ্চ ক্রে । জ ন ক ত ন য়া । স্না ন পু ণ্যো দ কে ষু
স্নি গ্ধ চ্ছা য়া । ত র ষু ব স তি ম্ । রা ম গি র্যা শ্র মে ষু


এই শ্রেণীর ছন্দের প্রধান বৈশিষ্ট্য এই যে, এর প্রতি পঙক্তির বর্ণগুলি লঘু-গুরু ক্রমে নির্দিষ্ট ক্রমে বিন্যস্ত হয়ে থাকে। প্রতি পঙক্তির বর্ণসংখ্যা এবং লঘু-গুরু ক্রমে বিন্যাসের বৈচিত্রভেদে রচিত প্রত্যেকটি ছন্দ এক-একটি বিশেষ নামে পরিচিত হয়ে থাকে। যেমন ‘মন্দাক্রান্তা’ ও ‘শিখরিণী’ এই দুই ছন্দের, প্রতি পঙক্তিতে থাকে সতেরটি করে বর্ণ, কিন্তু এই দুই ছন্দের বর্ণগুলির লঘু-গুরু ক্রমিক বিন্যাস ২ রকম। এই বিশেষ ক্রমে বিন্যস্ত সতের বর্ণের পঙক্তি নিয়ে গঠিত ছন্দকে বলা হয় ‘‘মন্দাক্রান্তা’’। ’’


তবে আবার মহামহোপাধ্যায় গঙ্গাদাস বিরচিত ছন্দোমঞ্জরীতে মন্দাক্রান্তা ছন্দের সংজ্ঞা এই রকম -
"মন্দাক্রান্তাম্বুধিরসনগৈর্মো ভনৌ গৌ যোযুগ্মম।।"


অর্থাৎ, সংস্কৃত শ্লোকের প্রতিটি চরণে যথাক্রমে ম ভ ন ত ত গ গ এই সাতটি গণ থাকলে এবং প্রথমে, চতুর্থ অক্ষরে তার পরবর্তী ষষ্ঠ অক্ষরে এবং তার পরবর্তী সপ্তম অক্ষরে বা শেষে যতি হলে মন্দাক্রান্তা ছন্দ হয়।
গণগুলি সম্পর্কে যা বলা আছে -
মস্ত্রিগুরুঃ - তিনটি বর্ণই গুরু হলে মগণ
ভাদিগুরুঃ - প্রথম বর্ণটি গুরু ও শেষের দুটি লঘু হলে ভগণ
ত্রিলঘুশ্চনকারঃ - তিনটি বর্ণই লঘু হলে নগণ
কথিতোহন্তলঘুস্তঃ - শেষের (তৃতীয়) বর্ণটি লঘু হলে তগণ
গুরুরেকোগকারঃ - একটি গুরু বর্ণ গগণ


সংস্কৃত সাহিত্যে মন্দাক্রান্তা ছন্দে লেখা সবচেয়ে স্বার্থক কাব্যের নাম - মেঘদূতম বা মেঘদূত যা মহাকবি কালিদাসের দ্বারা রচিত । এই কাব্য মন্দাক্রান্তা ছন্দকে এক নিজস্ব পরিচিতি দেয় এবং বিপুলভাবে জনপ্রিয়ও করে ।  


তবে উপরের আলোচনা থেকে বোঝা যায় সংস্কৃত মন্দাক্রান্তা শুধুমাত্র ৮-৭-৭-৫ নয়, এর গঠনের আরও নিয়ম আছে এবং এই সমস্ত নিয়ম ভীষণ রকমের নির্দিষ্ট। এর থেকেই আমরা ধারণা করি খুব খুব কঠিন এই ছন্দে কবিতা লেখা ,  এবারে আমরা বাংলা ভাষায় এর প্রয়োগ দেখি আসুন।


বাংলা ভাষায় এর প্রবর্তক ছন্দের জাদুকর কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত মহাশয় । সংস্কৃত থেকে তিনি বাংলায় অনুবাদ করেছিলেন, তিনি প্রধানত সংস্কৃত দীর্ঘশ্বাস কে বাংলায় মুক্ত দল বা মুক্ত স্বর ও সংস্কৃত হ্রস্যশ্বাস কে বাংলায় রুদ্ধদল বা রুদ্ধস্বর করে কবিতায় এই ছন্দ প্রতিস্থাপনা করেছিলেন।


"পিঙ্গল বিহ্বল/ ব্যথিত নভতল/ কই গো কই মেঘ/ উদয় হও
সন্ধ্যার তন্দ্রার/ মুরতি ধরি আজ/ মন্দ্রমন্থর /বচন কও।"


****


ধিন্.. ধিন্.. ধিন্.. ধিন্ / তা.. তা.. তা.. তা...তা.. ধিন্ / ধিন্.. তা.. ধিন্.. ধিন্/ তা.. ধিন্.. ধিন্
পিঙ্.. গল্.. বিউ্.. ভল্ / ব্য… থি.. ত…. ন... ভ.. তল্/ কই্.. গো… কই্.. মেঘ্/. উ… দয়্… হও্


এরকম ভাবে, মুক্ত ও রুদ্ধদল বা স্বরের (ওপেন ও ক্লোজড সিলাবলের) বিভিন্ন ধরণের বিন্যাসের ভেতর দিয়ে বাংলায় সংস্কৃত ছন্দ দাড়ায়; এটা কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত কতৃক আবিষ্কৃত পন্থা। বাংলা ছন্দের মতো এতে মাত্রা গণনা করা যায় কিন্তু এটি আসলে সিলাবলনির্ভর।সিলাবলের বিন্যাস ঠিক থাকলে মাত্রা এমনিতেই মিলে যায়। ক্লোজড সিলাবলগুলো কে ‘ধিন্’ এবং ওপেন সিলাবলগুলিকে ‘তা’ ধরলে ছন্দ মাথায় রাখতে সুবিধা হয়। যেমন ‘ধিন তা তা ধিন’ অর্থাৎ দুইটা ক্লোজড সিলাবলের মাঝথানে দুইটা ওপেন সিলাবল বসবে।যেমন: আজ্ প্রা ণা য়াম্ = ধিন তা তা ধিন; ব্যাপারগুলা এমন।


আরো বিস্তারিত ভাবে বাংলায় মন্দাক্রান্তা ছন্দের গঠন যদি আমরা দেখতে চাই, তবে আরো সহজ করে বা খোলসা করে যা পাব তা হল -
বাংলায় মাত্রাবৃত্ত ছন্দের চলন অনুসরণ করেই এই ছন্দ নিজের জায়গা বিস্তার লাভ করেছে, কারণ - ‘‘সংস্কৃতরীতি অনুসারে দীর্ঘস্বরের দীর্ঘতা স্বীকার করা এবং সংস্কৃত পদ্ধতিতে লঘু-গুরু ক্রমে ধ্বনিবিন্যাস করা বাঙলা ভাষার স্বভাবসম্মত নয়’’ - উদ্ধৃতি অনুসারে।


তাই  ৮ - ৭ - ৭ -৫ ...এর মধ্যে প্রথম আটমাত্রায় চারটি রুদ্ধস্বর, পরের সাতমাত্রায় তিনটি মুক্ত ও দুটো রুদ্ধ স্বর ( মুক্তদলের সংযুক্তিতে রুদ্ধদল প্রথমটি ), পরের সাতমাত্রায় একটি রুদ্ধ, একটি মুক্ত ও দুটি রুদ্ধস্বর এবং শেষ পাঁচমাত্রায় প্রথমে মুক্ত পরের দুটি রুদ্ধ স্বর হবে । এটিই মন্দাক্রান্তার স্বীকৃত ছন্দবিন্যাস । বাংলায় এই ছন্দের প্রবতর্ক কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত ।


এক্ষেত্রে, একটি কথা প্রযোজ্য, অনেকে বলেন ৭ -৭ -৭ -৫ মাত্রার কবিতাও দেখতে অনেকটা মন্দাক্রান্তার মতো হলেও তা মন্দাক্রান্তা নয়, মাত্রাবৃত্ত ছন্দ । এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ হল - কবি শঙ্খ ঘোষের " বাবরের প্রার্থনা " বা কবি মন্দাক্রান্তা সেনের লেখা " মেরুন পাঞ্জাবী " এব্যাপারে আপনাদের মতামতের অপেক্ষায় থাকব ।  


এর আগের পোষ্টে কবি দীপঙ্কর পাঠকনামা - ৩ আলোচনায় কবি মন্দাক্রান্তা সেনের কবিতার আলোচনা করেছেন,  তাই শেষ করার আগে, আমি ওনার লেখা মন্দাক্রান্তা ছন্দের আরো একটি উদাহরণ দিয়ে এই আলোচনা শেষ করছি।


মন্দাক্রান্তা সেন এর মন্দাক্রান্তা ছন্দতে লেখা কবিতার একটি সিরিজ আছে, যার নামও মন্দাক্রান্তা। একটি উদাহরণ দিই -


"মেঘ বৃষ্টির সাজ/পরাব তোকে আজ /রুক্ষ রোদ্দুর /আমার হোক
মল্লার বান্ধব তোমাকে দেব সব বজ্র বিদ্যুৎ মারাত্মক।


"যেই তোর ঐ চোখ/ এ চোখে রেখেছিস /ওমনি চলকাই /কথার খেই
আর তুই বলছিস/ ওভাবে তাকানোর/ কিচ্ছু নেই, আর/ কিছুই নেই"


আমি চাই, সকলে এগিয়ে আসুন,  একবার ভালোবেসে ফেললে দেখবেন নেশার মতো এটা, এড়িয়ে যেতে পারবেন না আর।  আসুন না চেষ্টা করেই দেখি এই বিরল ছন্দ ( এখন কার বাংলা কবিতায় ) নিয়ে আমরাও কিছু কবিতা লিখতে পারি কি না ? কি এতটাই কঠিন মনে হল কি আপনাদের বন্ধু ?  যদি এই আলোচনায় কেউ এতে উপকৃত হন, আমি নিজেকে কৃতার্থ মনে করব, আর কেউ সাহস করে এগিয়ে এসে যদি এই ছন্দে কবিতা লিখে ফেলেন, তবে আমি নিজেকে ধন্য মনে করব । আপনাদের ভালবাসাতেই আবার হাজির হব আবার একদিন অন্য কোন সংস্কৃত ছন্দের আলোচনা নিয়ে ।  আজকে এইটুকুনই থাক, কি বলেন ?  


আপনাদের এই আলোচনা কেমন লাগল জানাবেন, আর হ্যাঁ পিঠেও বস্তা বেঁধে রেডী হয়েই আছি, যদি মনে হয় লাঠিটা ভাঙবেন আমার পিঠেই, তাহলেও জানাবেন ।  হা হা হা হা ।  



পুনশ্চঃ -  এই অবসরে যে কথাটা না বললেই নয়, তা হল, আমার কবিতায় এই ছন্দ সম্পর্কে অনেক মূল্যবান মতামত পেয়েছি প্রাজ্ঞ কবিদের থেকে,  তাদের মধ্যে কবি শ্রী পটল বটব্যাল, কবি দেবব্রত সান্যাল ও কবি অজিতেশ নাগের নাম সর্বাগ্রে উল্লেখযোগ্য। তাদের মন্তব্যগুলোও  আমি এখানে মন্তব্যের পাতায় দিয়ে দেব, সকলের সুবিধার জন্য । আশা করি তার থেকেও অনেক উপকৃত হওয়া যাবে।