না'রে সুখময়,
এ জীবনে বোধহয় আর সুখ পাওয়া হবে না!


যখন বাহারী বিছানায় রংচঙে বালিশে সুখনিদ্রা যাই,
তখন আমার তোর কথা মনে পড়ে।
আবার পা দুলিয়ে সকালের গরম চায়ের সুখপানে,  
আমার মনটা ঠিক কেমন যেন করে।


চোখ চলে যায় খবরের পাতায়,
ব্যাটাচ্ছেলেরা, ভালো কিছু কি লিখতে পারে না ?
আমার মনে পড়ে যায় সেই ল্যাংটো পথশিশুদের কথা,
আজেবাজে চিন্তাগুলো ঘুমের মধ্যে আসতে পারে না ?


না, আর বোধহয় এজন্মে সুখ পাওয়া হল না'রে সুখময় !


যতই ভাবি সুখে থাকব,ততই শান্তি হারিয়ে যায়,
অশান্তির চোরাবালিতে কেন ডুবছি বলতো, হায়!
আজ এখন আমার তোর কথাই মনে পড়ে,
কাঁচবন্দী জীবনে বুঝি না, আজও কি জল পড়লে পাতা নড়ে ?


কতটুকু সুখ পেলে একটা জীবন নিশ্চিন্তে কাটানো যায়?
সেটা কি ক্রেডিট কার্ডে পে করা যায় ?
ভরা সংসারেও আজ তবে আমি একা কেন অসহায়!
সুখের অসুখে ভেঙ্গে ভেঙ্গে আজ আমি ক্লান্তপ্রায়।


না, না, না এই জীবনে সুখ আর এল না,
খাবার পরে ঢেঁকুরটাতে এখনও ফুটপাতের শিশুটার ঘামের গন্ধ।
তখন আমার তোর কথাই মনে পড়ে শুধু,
তবুও বিশ্বাস কর, হিংসে আমি তোকে করি না ।


সুখময়, হিংসে হয় শুধু তোর ওই নামটাকে,
তোর নামটাই যে সুখময়,
সুখটাকে নামেই বেঁধে রেখে কেমন জীবন কাটাচ্ছিস বল !  
অথচ আমি! সুখের আগুনে জীবন ছারখার...
কেন যে আমার সাথেই এমন হয়!


না'রে সুখময়,
আর বোধহয় এ জীবনে আর সুখ পাওয়া হল না ।