নিশিকাব্য! এবার থামতেই হলো।
যতি পড়লো পংক্তির মাঝখানে ;
অর্থের সুবিচার কিংবা ছন্দের লয়-
থাকছে না কিছুই! অকাব্যিক আর
অরসিক হলো শেষ কাব্যের গাঁথন।


শান্ত-সাবলীল আর সহজ কন্ঠে-
মধুমাখা বিষের নিরোত্তাপ দংশনে,
নিভে গেল আশার, নিভূ নিভূ দীপ।
আধারের দুঃখে যে প্রদীপ জ্বলে-
আজ আত্মাহুতি দিল, আলোর সুখে।


তন্দ্রা ভেঙ্গে আজ জেগেছে রাত!
সঙ্গ দিতে এই অবুঝ প্রানের।
ঝিঁ ঝিঁ -রা তাই দিচ্ছে পাহারা-
নিদ্রাবিহীন কাব্যের মাতাল আর
অর্থহীন, অপলাপ রুধিবে বলে।


আপোষে তাই করেছি কন্ঠরোধ!
মুক্তি দিতে সব উচ্চাবিলাসের-
যাতনাহীন রক্তবমি হোক আর
বুজে যাক স্বপ্নাতুর আঁখিযুগল।
নিভভাঙা কলমের হোক কালি শেষ।


রাবনের চিতাতে আজ গড়বো আবাস।
'আনন্দের' কফিনে হতে চাই লাশ!
বধির পৃথিবীকে তাই, বলি ফিসফিসিয়ে-
ভাবহীন, প্রানহীন, ছন্দহীন কাব্যের -
এটাই বুঝি শেষ! অকাল প্রয়াণ!!!