মুসোলিনি আমাকে ঈর্ষা করতো
আমাকে ঈর্ষা করতো রুজভেল্টও
চার্চিল আমার বন্ধু ছিলো
আজ যেমন আমার বন্ধু সুবীর আলমও
প্রত্যহ আমি আমার বন্ধুকে চুমু দিতাম গালে
পকেটের রুমাল কখনো চার্চিল ছেড়ে আসতো না। চুমু দেবার পরে তার রুমালটার দরকার হতো।

লিঙ্কনের কথা মনে আছে তোমার? বিশ্রী করে মুখ ভেংচি কাটতো তুমি যখন আমার নাম জপতে।
আমার নাম জপতো আরেকজন। কী যেন নাম তার? মনে আছে কিনা তোমার?

ইউরোপ জুড়ে তখন বরফ গলছে, আমি পেচ্ছাব করা ছেড়ে কি যে দৌড়ালাম আর দৌড়ালাম। মুসোলিনি আমার পিছু নিয়েছিলো, হঠাৎ দেখি গলে যাচ্ছি আমিও। বেঁচে থাকবো কিনা সে সংশয় তখন থেকেই জুড়ে গেলো জীবনে। কতবার যে আমি মানুষ হতে চেয়েছি, ঠিক কতবার আমি তোমাকে চেয়েছি বা বলতে পারো ঠিক কতবার যে আমি ন্যাংটো হয়েছি জীবনে সে হিসেব মেলে না। মুসোলিনি আমাকে শেখালো মানুষের রক্ত বড় ভালো লাগে।

ততদিনে আমার বন্ধুত্ব চেয়ে দূত পাঠিয়েছিলো আলাউদ্দিন খিলজি। আমি একবার স্বপ্নে আলাউদ্দিন খিলজির নুনু কেটেছিলাম। সেই থেকে খিলজি আমার বাম হাত চায়।

পারস্যে আমার শত্রু ছিলো জালালউদ্দিন রুমি।
সাদা দস্তানাটা সে আমাকে দেবে বলে আলমীরাতে তুলে রেখে ২৭ বছর গিলে ফেলেছে, তারপর ভারত বর্ষে রুমির কবিতার জয়কার শুরু হলে দুর্ধর্ষ্য প্রেমিকাদের আঁচলের তলে বেয়াড়া প্রেমিকেরা বলি দিতে থাকে। আমার বন্ধু রুজভেল্ট তখন মাত্রই সুরা পানে হাতেখড়ি নেয়। সেও মারা যাবার জন্য তড়িঘড়ি করতে থাকে। রুমি আমার ঠিকানায় দস্তানাটা পাঠিয়ে দিয়ে আমাকে বাঁচিয়ে দিয়েছিলো। রুজভেল্ট ধুঁকতে ধুঁকতে মারা যেতে থাকলেও কেন যেন আমি মরি না।
হিটলার আমার অমরত্ব চেয়ে ঈশ্বরের পা চেটে দিয়েছিলো৷ রুমি আমার প্রেমিকার যোনিতে মুখ ডুবিয়ে প্রার্থনা করছিলো আর আমাকে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে বাঁচিয়ে রেখেছিলো।

আমি বেঁচে আছি হে মর্তের মানুষ তোমরা দেখো আমি বেঁচে আছি। হাত হীন, মুন্ডুহীন শিশ্নহীন এক দ্বিপদী উচ্চাভিলাসি।
২৯/১২/১৯