আমারও একটা বাবা ছিলAmaro Ekta Baba Chilo

মন্তব্যসমূহComments

এখানে এপর্যন্ত ৮টি মন্তব্য এসেছে।

• ডা. প্রদীপ কুমার রায়(সুশোভন কবি) ১৭/০৬/২০১৮, ১৬:১৯ মি:
  পিতৃ দিবসে পিতার প্রতি প্রিয় কবির অতীব সুন্দর শ্রদ্ধাঞ্জলি। মোহিত প্রিয় কবি।ভালো থাকবেন সব সময়। পিতার আশীর্বাদ সব সময় আপনার আমার সবার সঙ্গে থাকুক এই প্রার্থনা করি পরমেহেশ্বরের কাছে। অনেক শুভেচ্ছা প্রিয় কবি।
  উত্তর দিন
• গোলাম রহমান ১৭/০৬/২০১৮, ১৪:৫০ মি:
  বাবাদিবসে অসাধারণ ছন্দময় বিষণ্ণ কাব্যে বিমোহিত!
  প্রিয় কবির জন্য ঈদের শুভেচ্ছা ও গভীর ভালোবাসা রেখে গেলাম।
  ভালো থাকুন সব সময়!!
  উত্তর দিন
• সঞ্জয় কর্মকার, বৈদূর্য কবি ১৭/০৬/২০১৮, ১৩:১৩ মি:
  আমার প্রথম রম খাওয়া।
  
  জ্যাততুত দাদার বিয়ে, বাবা তাকে নিজের পয়সায়
  পড়াশুনা করিয়েছিলেন, প্রতি মাসে মা'য়ের সাথেই
  দাদার নামেও মানি ওর্ডার আসতো।
  বাবা তখন পোস্টিং ছিলেন সিকিম 'রেনকে',
  বাবার সাথে কোনও যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না।
  তখন তো মোবাইল ছিল না, চিঠিই ভরসা।
  ঠিক হ'লো পল্টুদা বাবাকে আনতে যাবেন,
  সাথে গেলাম ডাকাবুকা আমি। আলগারা
  অবধি বাসে পৌছে গেলাম, সেখান থেকে
  হরতাল, বাস বন্ধ।
  দুপ্রহর, পল্টুদা বলে, ভাই চল ফিরে যাই আর
  আমি একে তাকে জিজ্ঞাসা করতে থাকি, যাওয়ার
  কোনও বুদ্ধি আছে কি'না?
  একজন জানায়, চোরাবাটো সে জানুস,
  চোরাবাটো মানে পাহাড়ের মাঝ দিয়ে পায়ে হাঁটা পথ।
  আমি পল্টুদাকে উৎসাহিত করি, জানি না কী মনে করে
  পল্টুদাও রাজি হয়ে যায়।
  আর তারপর! চোরাবাটো ধরে হাঁটা শুরু, ।
  পাহার জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে কষ্টসাধ্য, প্রায় ট্রেকিং এর মতো।
  একটা মিলিটারি গাড়ি যাচ্ছিল সেটা ধরতে গিয়ে,
  চোরাবাটো দিয়ে যেই উপর রাস্তায় উঠি ঠিক মু্হুর্তের ব্যাবধানে
  তা পার হয়ে যায়।
  যাই হোক এভাবে চলতে চলতে 'পেডং'।
  সেখান থেকে আবার চোরাবাটো।
  ধীরে ধীরে আলো কমে আসছে, রাত নেমে আসে।
  প্রায় রাত আট টার সময় লাফ দিয়ে যে চাঁতালে উঠলাম,
  আলগারা নয় এক্কেবারে আলগারা মিলিটারি স্টেশান
  মানে বাবার এলাকা।
  বাবার তার মিলিটারি বাংলোয় নিয়ে গেলেন।
  তারপর সব শুনলেন। হটাৎ আর এক ঘর থেকে
  দু'টো গ্লাসে পানিয় নিয়ে এলেন আর বললেন=
  এটা খেয়ে নাও।
  এক চুমুক খেয়ে এত বাজে লাগলো বাবাকে বল্লাম,
  এটা আমি খেতে পারবো না, বয়স তখন পনের কী ষোল।
  বাবা বল্লেন একঢোকে খেয়ে নিতে, তাই করলাম।
  বাবা চলে গেলে পল্টুদা আমায় বলে, ভাই দেখতো
  ফ্রীজে আরও আছে না'কি? আমি অবশ্য একটু পরেই
  বমি করতে করতে বেহুশ হয়ে গিয়েছিলাম।
  পরদিন সকালে ঘুম ভাঙে।
  আজ বুঝতে পারি, কেন বাবা সেদিন
  রম খাইয়েছিলেন।
  লিখছি আর চোখের জল কপোল বেয়ে যাচ্ছে।
  আজ আর বাবা ইহকালে নেই এরকম অসাধ্য কাজ
  করে দিলে-রখ খাওয়ানোর জন্যে।
  বাবা যেখানেই থাকো, ভাল থেক।
  
  দারুন সুন্দর লিখেছেন প্রিয় কবি। আন্তরিক শুভকামনা রইল।
  উত্তর দিন
• যোগেশ বিশ্বাস ১৭/০৬/২০১৮, ১৩:১০ মি:
  বাবার খোঁজে মন পড়ে রয় মন লাগেনা কাজে। বাবার স্মৃতি ভাল লেখা।
  উত্তর দিন
• রণজিৎ মাইতি ১৭/০৬/২০১৮, ১২:৫৫ মি:
  অনবদ্য ভাবনার প্রতিফলন। খুব ভালো লাগল আপনার কবিতা ।শুভেচ্ছা জানবেন।
  উত্তর দিন
• মোঃ আব্দুল কাদের ১৭/০৬/২০১৮, ১১:৩৫ মি:
  বাবাকে নিয়ে চমৎকার কাব্য। ধন্যবাদ প্রিয়কবি সাথে আমন্ত্রণ পাতায়। ভাল থাকুন কবি।
  উত্তর দিন
• কালকেতু (দুর্জয় কবি) ১৭/০৬/২০১৮, ১১:৩০ মি:
  পিতৃবিয়োগের বিরহের চমতকার প্রকাশ।
  উত্তর দিন
• দিলীপ চট্টোপাধ্যায় ১৭/০৬/২০১৮, ১১:২৫ মি:
  আজকের দিনের করুণ রসে শ্রদ্ধার্ঘ ।
  অশেষ ভালবাসা ও শুভেচ্ছা জানাই কবি বন্ধুকে । ভালো থেকো ।
  উত্তর দিন