সেদিন ছিলো
একুশে ফেব্রুয়ারি উনিশশো বায়ান্ন,
সেদিন ভাষাসৈনিক চেয়েছিলেন মুখের ভাষা ফিরিয়ে পেতে;
চাননি মুখে দিতে অন্ন।


আজ বাংলা বর্ণমালার মাঝে দেখতে পাই
ভাষা-সৈনিকদের মৃদুহাস্য মুখ,
বাংলা বর্ণমালার মাঝে দেখতে পাই
রফিক, সালাম, বরকত, জব্বারদের রক্তে ভেজা বুক।
বাংলা বর্ণমালা অ আ ক খ গ ১ ২ ৩ লিখে মা দিচ্ছেন অক্ষরজ্ঞান,
বাংলা ভাষায় শুনি, গায়কের কণ্ঠে
ভাওয়াইয়া, ভাটিয়ালী , জারি-সারি আধুনিক ও মাতৃভাষার গান।


বাংলা ভাষায় পড়ি
জীবনানন্দ, জসীমউদ্দীন, রবীন্দ্রনাথ, নজরুল,
বাংলা ভাষায় লিখি ফুলের যতো আছে নাম
শাপলা, শিউলি, পলাশ, শিমুল, গোলাপ, বকুল।
বাংলা ভাষায় কবিতা, গল্প লিখে, পড়ে, কথা বলে যে সুখটুকু পাই,
এতোটুকু জগতে অন্যকিছুতে আর নাই।
বাংলায় প্রথম বলতে শিখেছি একটি মধুর অক্ষরের ডাক শুধু  "মা"
তাই বাংলাকে নিয়ে তামাশা, অবহেলা কখনো করি না ক্ষমা।


বাংলা গান, গল্প, কবিতা, ছড়া
বাঙালী ঔপন্যাসিক, কবি, গায়কের প্রাণ,
যুগ যুগ ধরে বাংলা বর্ণমালায় রাখছে বাঙালির মান সম্মান।
বাংলা ভাষার জন্য যাঁরা করেছেন যুদ্ধ ও মৃত্যু বরণ,
তাঁদেরকে আজ আমরা শ্রদ্ধার সাথে করছি স্মরণ।