অ-কবি লিখতে বসেন অ-কবিতা
অ-কবিতার শিরোনামটা "প্রথা"

বউ এসে বলে লিখছো কী যা-তা
এসব লিখে মিলে কী কোন ভাতা?

খারাপ হয়েছে বুঝি তোমার মাথা?
হারিয়ে গেছে খোঁজ আমার ছাতা।

ছোট মেয়ে- বাবা এনে দাও খাতা
ছেলে- ঔষধটা খাবনা বড্ড তিতা!

ফোনটা বাজল তা ধিন্ ধিন্ তা
বন্ধু- হ্যালো কি করছিস মিতা?

অ-কবি- বন্ধু মাথায় বাঁধছি ফিতা
বন্ধু- এমন করে বলছিস যে কথা?

এক্ষুনি আসছি নিয়ে পাকা আতা
খাব তোর বউয়ের রান্না লতাপাতা।

জেঠিমা নিয়ে এলেন তাঁর জাঁতা
ধারিয়ে দে তো তা, হয়েছে ভোঁতা।

বারেবারে খাঁচায় ডাকছে তোতা
বাবা ডাকেন মুছে দিয়ে যা জুতা।

ডিসকভারি চ্যানেলে দেখে চিতা
ভয়ে ড্রয়িং রুমে চেঁচাচ্ছে রিতা।

পড়শীরা এসে ধরে অ-কবির ছুতা
এসব শুনে অ-কবির মনে ব্যথা।

গ্রীষ্মের গরমে মাথাটা তাঁর তাতা
কলিং বেলটা চাপেন সেবা দাতা!

লেখালেখি রেখে ঘুমো, বলেন মাতা
ভাইপো উঁচু স্বরে শিখছে নামতা।

নাতি-নাতনী এসে পেটে মারে গুঁতা
ভোট ভিক্ষা চাইতে এলেন নেতা।

(ক্ষুব্ধ হয়ে) অ-কবি- হে বিশ্বপিতা
দাও আমাকে একটুখানি নীরবতা !