শরত-সন্ধ্যায় নীলাকাশে বক সারি সারি
মেঘমালা শূন্যে ভেসে চলে পরে শুভ্র শাড়ি।
প্রকৃতি একেবারে চুপচাপ শান্ত হাওয়া
পথে-ঘাটে কতজন করছে আসা যাওয়া।


জেলেরা খাল বিলে মাছ ধরছে ফেলে জাল
সারিবদ্ধ তালগাছে ঝুলে আছে পাকা তাল।
শরতের রাতে বাগানে শিউলি ফুল ফুটে
কপোত কপোতীরা বাকবাকুম ডেকে উঠে।


স্বচ্ছন্দ বাতাসে নদী পাড়ে কাশবন দুলে
যুগলে যুগলে হাত খানি ধরে সব ভুলে।
সমীরণ বাঁশপাতা সনে করে কোলাকুলি
প্রভাতে বধূ নেয় ঝরা শিউলি ফুল তুলি।


আকাশের গায় বসে হরেক ঘুড়ির মেলা
রাতে চাঁদিনি ধরায় নেমে এসে করে খেলা।
দুপুর রোদে জলরাশি যেমন স্বর্ণোজ্জ্বল
ঢেউগুলো পাড়ে এসে চুমু খায় বেঁধে দল।


পাহাড়ের বুক ছিঁড়ে নেমে আসছে ফোয়ারা
তরুণ তরুণী নেচে গেয়ে হয় আত্মহারা।
জলাশয় থেকে কুমারী তুলে শাপলা ফুল
খোঁপায় দেয় এক গুচ্ছ, কানে লিলির দুল।


বিকেলে পাড়ার শিশুরা খেলছে কানামাছি
বন্ধুর সঙ্গে বন্ধুর গল্প বসে কাছাকাছি।
সন্ধ্যালোকে শুনি পাখিদের সুরেলা কাকলি
রূপসী দেশ ছেড়ে কোথায় যাব বল চলি?