কে কে যাবি ঐ টাঙ্গুয়ার নৈসর্গিক মহলে
শরতের জ্যোৎস্না নৃত্য করছে রে ; ঐ জলে।
জ্যোৎস্নার বান ডেকেছে মন নেই কারো ঘরে
আনন্দের ঢেউ উঠেছে, ঐ সজনীর অন্তরে।


মাছগুলো খেলা করছে রে ; ঐ স্বচ্ছ জলে
রঙিন ফড়িং, প্রজাপতিরা বসেছে নলে।
ঐ আকাশে মেঘবালিকা হাসছে খিলখিল
উড়ছে পাখিরা, এ বিল থেকে ঐ বিল-ঝিল।


কে যাবি আয় সখা-সখী, জলদি দলে দলে
নাগর বাঁশি বাজাচ্ছে, হিজল-কড়চ তলে।
সন্ধ্যে গাছে গাছে হাজার পাখির কলতান
টাঙ্গুয়া হাওরের ওরাই বুঝি সুলতান।


দূর গ্রামের বাতিগুলো ক্ষণে নিভে আর জ্বলে
ফটিক জলে যুবতী জ্যোৎস্না পড়ছে ঢলে ঢলে।
ডিঙি খানি ভাসিয়ে দে রে ; টাঙ্গুয়ারই পানে
জ্যোৎস্না গায়ে মেখে রাত কাটাবো গানে গানে।