আজ প্রিয় উষসীর উর ছেড়ে
বিন্দু বিন্দু শিশির-সিক্ত গা ঝেড়ে।
          প্রভাতী কোমল রোদে করে স্নান
          পাকা ধান নিয়ে এলো ঐ অঘ্রান।

পুষ্পিকা গন্ধ ছড়ায় চারিধার
প্রজাপতি উড়ে ডানা মেলে তার।
          বঙ্গ বক্ষে অঘ্রান ফেলে চরণ
          মৃত্তিকা করে নেয় তারে বরণ।

সকালের রোদ উঠে ঝলমল
কৃষিজীবী মাঠে যায় বেঁধে দল।
          বাংলার মাঠে মাঠে সোনালী ধান
          চাষীরা গায় শস্যোৎসবের গান।

শিশু-কিশোর উৎসবে মেতে উঠি
সোনা ধান নিয়ে খেলে মুঠি মুঠি।
          ঘরে ঘরে নবান্নের পিঠা-পুলি
          অঘ্রান দেয় মনের দুঃখ ভুলি।

কৃষক-কৃষাণী ছেড়ে দিয়ে ঘুম
ফসল কেটে আঁটিতে দেয় চুম।
          সোনার ধানে বানিয়ে কণ্ঠহার
          কৃষাণীকে পরায় কৃষক তার।

অঘ্রান ছড়ায় রঙের সম্ভার
মুখে হাসি ফুটে উঠে বাংলা মা’র।
          সোনা ধানে চঞ্চল সকল প্রাণ
          চারপাশে তাই নবান্নের ঘ্রাণ।