হে আমার ত্রিশ লক্ষ প্রাণের স্বাধীনতা
একদা তুমি ছিলে, অকল্পনীয় বাস্তবতা
তোমাকে পেতে সেই ক্ষুদিরাম, তিতুমীর
প্রীতি লতা, সূর্য সেন কত আকুতি জানিয়েছিলো
দাওনি ধরা । তবুও থেমে থাকেনি আমরা
এক বুক আশা নিয়ে সেই যে অগ্রযাত্রা
পথে পথে জুলুম-নির্যাতন, কত অত্যাচার
এভাবে কেটে গেলো আন্দোলনে বহু বছর ।

ইংরেজ তাড়াতেই হাজির পাকিস্তানি
কোথাও ভুল ছিলো, তাই এমন পরিণতি !
একই মুসলিম জাতি ! হলে, হবে কি
অমানুষ মানে না, খোদার নীতি
ভাষার দাবী থেকে বুঝে ছিলো বাঙালি !
তাইতো পাকিস্তানি হিংস্র থাবা থেকে বাঁচতে
দীর্ঘ সংগ্রমের পথে আবার বাঙালি
স্বাধীনতা, তখনো তুমি ধরা দাওনি ।


২৫ মার্চ ঘুমন্ত মানুষের উপর হঠাৎ আক্রমণ
এক রাতেই ঝরে গেলো, অর্ধ লাখ প্রাণ
অগণিত মা-বোনের ইজ্জত, পাশবিক নির্যাতন
কেউ কি বসে থাকতে পারে তখন ?
শুরু হয়ে গেলো, এক ভয়াবহ যুদ্ধ !
নিরুপায় বাঙালি, যার যা ছিলো সমার্থ
তাই নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে নিশ্চিত মৃত্যুর পথে
নিজেকে আর প্রিয় দেশটাকে বাঁচাতে ।


পাক হানাদার-রাজাকার-আল বদর
আগেই তৈরী ছিলো, তাই পরিকল্পিত ভাবে
গ্রাম কি গ্রাম জালিয়ে করে ছারখার
বলত ধর্মের পথে আমরা রাজাকার !
এভাবে জুলুমের পর জুলুম আর বর্বরতা
চালিয়ে নি:চিহ্ন করতে চেয়েছিলো ওরা
কিন্তু বীর বাঙালির সাহসী নৈপুন্যতা,
অবশেষে হার মানতে বাধ্য হয় পাকিস্তানিরা ।


এত গণহত্যা দেখেও চীন-সৌদি-আমেরিকা
করেনি এতটুকু ও মানবিক সহযোগিতা !
দুর্বিষহ সেই দিন গুলিতে ভারতের পাশে থাকা
খাবার-আশ্রয়-ট্রেনিং দিয়ে অবশেষে স্বীকৃতি দেয়া
বাংলাদেশের স্বাধীনতা, এত সহজ ছিলো না
যেটা এক সাগর রক্তের বিনিময়ে পাওয়া ।।