“বৈশাখে” ধর্ম গেলো ! এমন ধোয়া তুলে
মৌলবী করে ওয়াজ, জুম্মার দিনে ।


“পহেলা বৈশাখ” পালনে যদি পাপই হবে !
তবে বাংলা ভাষায় কথা বলো কোন শরমে  ?
যে ভাত খাও তা কি আছে কোন আরবি কিতাবে ?
তোমার ঘরে যে লুঙ্গি-শাড়ি, সেতো বাঙালি রীতি !
এর কোনটি করে ব্যবহার, আরব জাতি ?
ধর্ম নিয়ে মোল্লাদের এমন বাড়াবাড়ি দেখে
বিদ্রোহী কবি নজরুল তাই বলেছিলেন ক্ষোভে-
“আমপারা পড়া হাম-বড়া...বেড়াই ভাত মেরে” !


বিশ্বে সকল জাতির আছে কিছু নিজস্ব রীতি
পহেলা বৈশাখ তেমনটি বাঙালি সংস্কৃতি
প্রত্যেক দেশই তাদের পুরাতন ঐতিহ্য ধরে
ধারণ-পালন করে, বছরের নির্ধারিত দিনে
অথচ বাংলাদেশের কিছু উগ্র গোঁড়া মৌলবী
বলে ইসলামে হারাম ! এটা হিন্দুয়ানি কৃষ্টি ।


ষোলআনা ইসলাম মানে না আরব ব্জাতি
অথচ তাদের উপমায় সরব, দেশের মৌলবী
মৌলবী যে এসি রুমে আরামে নামাজ পড়ে
মাইকে তিনি কত ওয়াজ-নসিহত করে
এখন আবার স্মার্ট ফোন দেখি হাতে হাতে
এর কোনটা ছিলো নবী (স:) এর যুগে ?
এই সব পণ্য তো বিধর্মীদের আবিষ্কার !
কোন হিসেবে কর তোমরা সেটার ব্যবহার ?


কোরআনের হাফেজ-মোফাচ্ছের সব মুসলমান
বিধর্মী যদি কোরআন থেকে করে সব আবিষ্কার
তুমি কি ঘাস খাও ? যে মুরোদ নেই তোমার !
গল্পেশ্বর ! জুম্মার দিনে শুধু কথার ঝংকার
দান করতে বলে সবার, নিজে করে না দান
মৌলবীর টাকায় চলে না, কোন দাতব্য প্রতিষ্ঠান
ধর্ম নিয়ে ব্যবসা চলে, শুধু এই উপমহাদেশে
আরবি জানে না বলে, সব হুজুর হুজুর করে ।


বহু করেছিলে একাত্তরে, হত্যা-নির্যাতন-ধর্ষণ
অথচ মাতৃভূমির জন্য রাখোনি একটু অবদান
লজ্জা লাগে না আজ ! এটা নয় পাকিস্তান
অসাম্প্রদায়িক দেশ এটা, মৌলবী সাবধান !!