সকাল থেকে এদিক সেদিক যাচ্ছি ঘুরেফিরে,
সূর্য বুঝি তপ্ত দাহে বুকটা দেবে চিরে।
কোথায় পাব ঠান্ডা হাওয়া বেশি নয় একমুঠো,
কোথায় পাব বৃষ্টির দেখা ফোটা মাত্র দুটো।
সকাল পেরিয়ে আস্তে আস্তে এলো দুপুর বেলা,
রাগান্বিত সূর্য শুরু করল নতুন খেলা
হৃদয় বুঝি পুড়বে তার অট্টহাসিতে,
প্রাণটা বুঝি বেরোয় সূর্যরশ্মির ফাঁসিতে।
একটুখানি হিমেল হাওয়া চাইলাম গাছের কাছে,
কোনসে অভিমানে গাছ নীরব হয়ে আছে।
ঘরে বাহিরে,বাহিরে ঘরে যায় না কোথাও থাকা,
শান্তির ছোঁয়া ছড়াতে কি বৃষ্টি দেবে দেখা!


সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত্রি এলো ফিরে এলাম ঘরে,
জেনেশুনে বন্দি হলাম আগুনের গহ্বরে।
সব জানালা খুলে দিলাম ঠান্ডা হাওয়ার আশায়,
বুলিয়ে দেবে তণু আমার শীতল ভালোবাসায়।
অনেক সময় কেটে গেলো বাজল বারোটা,
আস্তে করে নিভিয়ে দিলাম ঘরের আলোটা।
কিছুই দেখতে পাই না যেনো জেগেও আন্ধা,
ঘুমের রাজ্যে নির্ঘুম আমি একা বাসিন্দা।
নির্ঘুম এই চোখে শুধু তন্দ্রা তন্দ্রা ভাব,
আজ রাতে কি ঘুমের রানীর হবে আবির্ভাব?
হঠাৎ করে এক পশলা বৃষ্টি নেমে এলো,
ঠান্ডা হাওয়ায় আমার এ ঘরটা ভরে গেলো।
ক্লান্ত দেহে কখন যে ঘুম এলো চোখ জুড়ে,
ঘুম ভাঙতেই দেখি সূর্য মাথার উপরে।


০৬-০৯-২০২১ইং