সকল ছেলে স্বপন দেখে
সকল মেয়ে স্বপন আঁকে
রাত ঘুম ঘুম ক্ষণে,
রঙে রঙে সাজায় তা
সঙ্গে সঙ্গে রাখে তা
একা আপন মনে।
কাজে কাজে ব্যস্ত থাকে
সাঁঝে সাজে ন্যস্ত থাকে
বাকি ক্ষণ চলা,
দৌড় দৌড় আরও দৌড়া
ওরে মন জোড়ে দৌড়া
দৌড়েরই পালা।
নেই বিশ্রাম নেই অবসর
হাঁটতে করে বুক ধর ফর
তবুও চলা চাই,
চলো চলো আরও চলো
মনের কথা পরে বলো
সময় আর নাই।
কাঙ্খিত লক্ষের খোঁজে
কর্ম করে সময় বুঝে
অমাবশ্যায় চাঁদ,
স্বপন প্রদ্বীপ নেভে জ্বলে
তবুও আশা কথা বলে
পূরণ হবে সাধ।
এমনি করে যাচ্ছে দিন
দিনের কাছে অনেক ঋণ
শোধ হবে কীভাবে!
সারাদিনের ক্লান্তি ঘামে
শোধ হবে কী তাদের দামে
শুয়ে শুয়ে ভাবে।


লক্ষ জনের এক জন
অতি সহজ সরল মন
চোখের বাঁকে বাঁকে,
ভোর বেলাতে পাখির গানে
দিনের রাতের পাখির গানে
শান্তির ছবি আঁকে।
আগামীতে বধূ হবে
একটু আদর- স্নেহ নেবে
বেশী নয় চাওয়া,
তার ভোর তারই রবে
তার সকাল কথা কবে
এটাই তার পাওয়া।
হাজার দিন লক্ষ প্রহর
কেটে গেলো অনেক বছর
বধূ সাজল সে,
বুকটা করে দূরু দূরু
কি জানি কী হবে শুরু
ভাগ্যে যে কি ভাসে!
এক হাজার এক, "চার আনা"
সব মিলে মোহরানা
বুঝে দিল স্বামী,
ওদের ভালোবাসা তুমি
কবুল করে নিও তুমি
ওগো অন্তর্জামী!
মাস খানেক কেটে গেলো
অনেক দেখা-চেনা হলো
স্বামীর গরিবী অবস্থা,
নাই জমি ঘর- বাড়ি
নাই অজস্র টাকা কড়ি
স্বামী নয় সস্তা।


অর্ধাহারে কেটেছে দিন কত
স্বপন যেনো হয় না নিহত
সেই কামনায় করে,
ইচ্ছে গুলো গুচ্ছ সাজিয়ে
রাখল বধূ শিকেয় টাঙিয়ে
এভাবে দিন গড়ে।
বেশ ক'টা বছর গেলো কেটে
অন্ধকারে অর্ধ চাঁদ ফোটে
কেটে গেলে আরও,
নিত্যরাতে চাঁদ আকাশে ভাসে
তাই না দেখে বধূটিও হাসে
চাঁদটা হলো বড়।
দুখের রাত ঐ পোহালো
পাখির গানে ভোর হলো
কথা কইল সকাল,
তেতো স্বপন মিঠে হলো
চোখের কোণে রোদ নামিল
ইশারা দেয় বিকাল।


বলল স্বামী-একটু সাজো
গান হয়ে কানে বাজো
দেখব আর শুনব,
তোমার সাথে বলব কথা
নয় কান্না নয়তো ব্যাথা
শুধুই সুখ গুনব।
সাজল বধূ একি সাজে
হাতের গয়না বাক্সে বাজে
"গয়না কোথায় গয়না?"
কান ফাঁকা হাত ফাঁকা
নাকটাতে একটু রাখা
"মন খারাপ ময়না?"


স্বামীর হাতটি ধরে সে
দেখিয়ে দিলো মিষ্টি হেসে-
এইতো আমার সোনা,
বিয়ের রাতে যা পেয়েছি
ভালোবাসায় তাই বেঁধেছি
সেই যে "চারআনা"।
হিরা,সোনা চাইনা আমি
তুমি হলে সবচেয়ে দামী
দিও প্রেমের মৌ,
ভোর আমার,সকাল আমার
আমি তোমার আমি তোমার
চারআনার বউ।
০৩-১১-২০০৩ইং
( রাতঃ১০টা থেকে ৩.৩০)