এইতো সেদিন জানালার পাশে
দাড়িয়ে আছি একা,
স্মৃতিটা মনে আছে
নেই তো কোথাও লেখা।
ঘুরে ঘুরে দেখি সবই
তাকাই সকল দিকে,
আজকে আমার মনে হলো
একটু রাখি লিখে।

হঠাৎ আমার চোখটা গেলো
জানালার উপরে,
মাকড়শা জাল পেতেছে
শিকার ধরার তরে।
কিন্তু একি জালটা কেনো
নড়ছে সারাক্ষণ,
মনে হলো জালটাকে
দোলা দিচ্ছে পবন।
ভালো করে তাকিয়ে দেখি
মাকড়শাটা দুলছে,
তার পাশে একটি পোকা
জালে বেঁধে ঝুলছে।

দেহ মনে বারংবার
চেষ্টা করে যাচ্ছেই,
জাল থেকে মুক্ত হতে
পারছে না কিছুতেই।
দোলা দিচ্ছে মাকড়শাটা
পোকাটি দোল খায়,
ব্যর্থ চেষ্টা করছে পোকা
এই বুঝি প্রাণ যায়!
মাকড়শাটা হাসছে
পোকা করছে চিৎকার,
দেখছে না কেউ শুনছে না কেউ
একটু কান্না তার!

মন থেকে সাড়া পেলাম-
সাহায্য করো তুমি,
তোমার প্রাণের মতই ওর
প্রাণটা অনেক দামী।
আবার সাড়া পেলাম মনের-
থাকো আগের মত,
ওর খাদ্য থেকে ওকে
করো না বঞ্চিত।
থমকে গেলাম মূহুর্তেই
করব কি এখন,
এক দিকে ক্ষুধা আর
অন্য দিকে জীবন!

ক্ষণেক ভাবি জীবন-ক্ষুধা
দুটোই পাশাপাশি,
কার সাথে মিছেমিছি
করব রেশারিশি।
জীবন আছে বলেই আছে
ক্ষুধা নিবারণ,
তা না হলে পৃথিবীতে
বাঁচবে কেন জীবন।
আজকে যে খাদ্য হলো-
আগের চিন্তা করি,
এতো দিন ছিল সে
খাদ্য শিকারি।
মূহুর্তেই কিংকর্তব্যবিমূঢ়
গেলাম হয়ে,
কার মুখে আনব হাসি
কাকে অশ্রু দিয়ে।
জালের মধ্যে অনেক খাদ্য
চেয়ে দেখলাম,
হাসি মুখে পোকাটিকে
ছেড়েই দিলাম।