কি ভীষণ সাজানো ছিল তোমার পরিকল্পনা
কল্পনাতীত ধাক্কাটি আচমকা আমাকে নিথর করে
বিবশ মনে ফিরে পেতে চাই নিজেকে নিজের মাঝে
যতো আলোকিতই করি ঘরদোর তোমার ছায়াটি তবু দৃশ্যমান।


এখন নিজেকে বিপন্ন প্রাণীর চেয়েও দামী কিছু বলে ভাবতে হবে
অস্তিত্বের শঙ্কটে কত মাত্রাই না ছাড়াতে হয় মানুষকে।


আমিও তো মানুষই ছিলাম- দুই পা, দুই হাত, দুই চোখ
দৃষ্টিশক্তি ছিল ভালোই - অন্তর্দৃষ্টি ছিল না মোটেই।


মনের বনে হেঁটে হেঁটে ক্লান্ত আমি স্বপ্নের ঘরে একটু বসতে চাই
বিচ্ছিন্নতার প্রচ্ছন্ন বিষণ্ণতা আমাকে কেবলই আচ্ছন্ন করে।
পৃথিবীর দু মেরুর মতোই আমরা দুই মেরুতে থেকে একাকী শীতার্ত হই
মাঝে জগত সংসারের সব মানুষকেই মনে হয় সুখ রোদের উষ্ণতা-গ্রস্ত।


ঈর্ষান্বিত আমি নই - কিছুটা ভাবার্ত - অকারণ নির্বিকার।
যেন অনিবার্য নিয়মেই এই বিভাজন সংঘটিত।


সুরের লয় তাল এখন ইথারেই ঘুরে মরে, আমার ভিতরে আর আসে না
সুপাঠ্য কাব্য যেন শুষ্ক-পত্র, নিরর্থক শব্দ-কল্প।
সাদা-কালো এই পৃথিবীটা বড়ই অচেনা লাগে
গ্লানি নয়, ক্ষোভ নয় শুধু অপার বিস্ময় আমায় ভ্রুকুটি করে।