~~~ প্রাচীন কবির একদিন ~~~
অত্যাশ্চর্য্য এ পরীক্ষণ
আমি যুগপৎ বিস্মিত এবং বিচলিত
সামনে উপস্থাপিত কাঁচক্ষেত্রটি জ্বলজ্বলে আভায় করিতেছে বিপুল আকর্ষণ ;
অচিন্তনীয় এক কাব্যধারণ যন্ত্র নাকি - ‘ট্যাবলেট’ নামক এ পাতলা গ্রন্থ
নাকি খেরো খাতা; আচ্ছা নামটিতো অষুধ পথ্যের -একি নিদানও দেয় নাকি?
লিখন-কার্য কিরূপে ইহাতে সাধিত হওয়া সম্ভব ? ইহাতেই নাকি সব লিপিবদ্ধ করা যায়!
এই স্লেটসম সমতল পৃষ্ঠে অঙ্গুলী সঞ্চালন করিয়াই নাকি লেখাছাপা সম্ভবপর হইয়া  থাকে।ভাবোদ্গম হওয়ার পরিবর্তে দেখিতেছি ভাব তীরোধানের উপক্রম হইতেছে।
রঙের দীপ্তিতে আলোকোচ্ছ্বটায় সমুজ্জ্বল এই সমতল ক্ষেত্র আমার মনোসংযোগকেই বিক্ষিপ্ত করিতেছে তীব্রভাবে।ইহা মনুষ্য সৃষ্ট না গ্রহান্তরের আগন্তক হইতে পাওয়া দূর্লভ উপহার তাহাই চিন্তাকে নিরন্তর আলোড়িত করিতেছে ............।।


~~~ আধুনিক কবির একদিন ~~~~

কান্ড দেখ-
আমাকে দিয়েছে স্লেট-খড়ি খসরা লেখার জন্যে আর তালপাতা-খাগড়া কলম চুড়ান্ত কাব্য লিখে রাখার জন্যে। বলি এ কোন কাব্যিক রিমান্ড নাজিল হলো!
হাতের লেখার আমার যা ছিড়ি তার উপর বানানের যা অবস্থা লিখতে কাঁপছে হাত।
আচ্ছা এ লেখা তো পোকায় কাটবে- পানিতেই ধুয়ে যাবে, পাঠক শেষমেশ পাবে কিছু?
পূর্বসুরীদের কথা এই অবসরে মনে আসছে--
ওনারা কতো ধৈর্য্য ধরেই না লিখতেন- কালের গর্ভে তাই রয়ে গেছে কতো সঞ্চয়।
লিখেছেন হয়তো আমাদের কথা ভেবেই - সুচারু হস্তলিপিতে অংকিত তালপত্র।
সৃষ্টির সেই কোন কাল থেকে বইছে রক্তধারা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে-
আমরা আবহমানকালের মানব সন্তান--
পরম ভক্তি নিয়ে আমি কালো কালির দোয়াতে  
খাগড়া কলমখানি ডুবালাম .....................।