কালোদের হাতে ঝক ঝকে কালাশনিকভ তুলে দিয়ে
ওরা বলেছিলো,” তোমরাই গোত্রের সেরা ,তোমাদের এই দেশ।“
যথারীতি শ্রেষ্ঠত্ব প্রকাশে তৎপর এরা নির্বিচারে
অন্য গোত্রের ওপর ম্যাগাজিন খালি করে দেশের জঙ্গল মাটির
রঙ বদলে দিলো- কান্নার স্রোত আর রক্তের স্রোত
মিলে মিশে এক নতুন ছিন্ন মানচিত্র তৈরী হলো আফ্রিকায়।
নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে স্বাক্ষী হয়ে রইল বাওয়াব বৃক্ষেরা  
বন্যেরা মানুষের পশুত্ব দেখে মুখ লুকালো জঙ্গলের গভীরে।
ম্যাশাটির কোপে খন্ডিত লাশ নির্বিকার আকাশ দেখে
খুলি উড়ে যাওয়া ছড়ানো ছিটানো শব মাটির বুকে মোজাইক যেন-
বাতাসে বসতি আর মানুষের শরীরের পোড়া গন্ধ
ঝক ঝকে কালাশনিকভ বর্বর রোদে চক চক করে শ্রেষ্ঠত্ব দেখায়।


নরশিকারীদের উল্লাসে মানবতা, বিশ্ববিবেক  গুমরে ওঠে-
না, থামাতেই হবে জেনোসাইড- নির্বিচার গণহত্যা।  
প্রশিক্ষিত ইয়ুরোপিয়ান পদাতিক ট্যাঙ্কের সাথে নামার আগে
আকাশ বাতাস প্রকম্পিত করে ছোটে স্যাবর জেট- ভারী গোলা বর্ষনে দক্ষ
পেছনে আসছে এপাচি, হেলিকপ্টার গানশীপ ধীরে সুস্থে
ঝাঝড়া করে ফেলবে মাটির ইঞ্চি ইঞ্চি
বুলেট বৃষ্টি থেকে রেহাই নেই জীব কি জরের।


আফ্রিকায় যখন দোজখের আগুন আকাশ ভেঙ্গে নামছিলো
ইয়ুরোপের আকাশে তখন উৎসবের ঝলমলে আতসবাজীর ফোয়ারা।


ক’দিনের বীর কালো যোদ্ধার ছিন্ন ভিন্ন দেহের পাশে নির্জীব শুয়ে
ধুলো কাঁদা মাখা - নিশ্চুপ কালাশনিকভগুলো।
দামী খনির দেশের  নাগরিক  এখন অভুক্ত গৃহহীন -
আশ্রয় শিবিরের সন্ধানে হন্যে হয়ে ছুটছে।


কালাশনিকভের যোগানদার এবার-
খনির মালিকানার হিস্যা ঠিক করতে বসেন
হাস্যোজ্জ্বল মুখে।


* কালাশনিকভ = AK 47 অটোম্যাটিক,সেমি অটোম্যাটিক অ্যাসাল্ট রাইফেল।ফায়ার পাওয়ার ৪০-৬০ রাউন্ড/ মিনিট । রাশান মিখাইল কালাশনিকভ ১৯৪৮-এ এই
ওয়েপন আবিস্কার করেন।
** শুধু ফ্রান্সেরই বাজেটের ৭০% যোগান দেয় আফ্রিকার দেশগুলো।